সিএনএম প্রতিবেদকঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এক নারীর সঙ্গে হলমার্ক কর্মকর্তা তুষার আহমেদের সাক্ষাতের ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে সেখানকার সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধাকে। তাদের আগেই দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কারা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। এই তথ্য জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান বলেন, কিছু অভিযোগের কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে কারাবন্দিদের সঙ্গে বাইরের কারও দেখা করার সুযোগ নেই। এরপরও গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে কারা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারীর সাক্ষাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। এরপর জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ, ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।এই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
তদন্ত কমিটি ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা, চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে জেলা কারাগারে পদায়ন করা, কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন করাসহ ২৫টি সুপারিশ করেছে।
হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলার অন্যতম আসামি তুষার কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে কাশিমপুর কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এক নারী। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইন কারাগারে থাকার সময়ই এ ঘটনা ঘটে।