1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

রাত ৯টার পর খাল সাঁতরে পার হয় ৩ উপজেলার মানুষ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২, ৭.৫২ এএম
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীকে লৌহজং ও সিরাজদিখান থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ১৫ কিলোমিটার বিস্তৃত তালতলা গৌরগঞ্জ খাল। খালটি ব্যবহার করে তিন উপজেলার মানুষ তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম করছে। আর এই খাল পার হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে খেয়া নৌকা। 

জানা গেছে, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলার মানুষ তাদের পারাপারের ক্ষেত্রে গৌরগঞ্জ খালটি ব্যবহার করছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘাটে পারাপারের জন্য থাকে খেয়া নৌকা। এই সময়ের আগে অথবা পরে যদি কেউ পারাপার হতে চায় তবে তাদের সাঁতার কেটে পারাপার হতে হয়।

দেখা গেছে, পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়া এই খালটি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সঙ্গে লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলাকে বিছিন্ন করেছে। ওই তিন উপজেলার মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজে খালটি ব্যবহার করছে।

সুবচনী বাজার থেকে খালের ওপারে লৌহজং উপজেলার ঘাসভোগ ঘাটে এবং সিরাজদিখান উপজেলার তেলিপাড়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র দুটি নৌকা। প্রতিদিন ওই নৌকা দুটি দিয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নসহ পাশের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন, মালখানগর ইউনিয়ন, লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক যাতায়াত করছে।

ওই এলাকার শিপন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি লৌহজংয়ে। কিন্তু আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান টঙ্গিবাড়ী থানায়। প্রতিদিন এই খাল পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত ঘাটে খেয়া নৌকা থাকে। তাই ৯টার মধ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে হয়। জরুরি কোনো প্রয়োজনে রাত ৯টার পরে বাড়ি ফিরতে হলে তখন আর নৌকা পাওয়া যায় না। সাঁতরিয়ে খাল পার হতে হয়। ছোটবেলা থেকেই এই অবস্থা দেখছি। একটা ব্রিজ হলে ভালো হতো।

ওসমান গনি বলেন, গভীর রাতে নৌকা থাকে না। ঘাটে নৌকা না থাকায় কেউ অসুস্থ হলে সময়মতো ডাক্তার আনা যায় না। রোগীদেরও খেয়ার কারণে ডাক্তারের কাছে নেওয়া যায় না। অনেক সময় রোগীদের ডাক্তারের কাছে না নিতে পারায় মারাও যায়।

মাদরাসাছাত্র বায়োজিদ বলেন, আমার বাড়ি টঙ্গিবাড়ীতে। আমি প্রতিদিন ৩-৪ বার খেয়া পার হয়ে মাদরাসায় যাই। যখন খালে অনেক ঢেউ থাকে তখন অনেক ভয় করে।

টঙ্গিবাড়ী-লৌহজং ঘাটের মাঝি দুলাল বলেন, এই ঘাটে আমরা দুজন মাঝি সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নৌকা চালাই। বিনিময়ে আমাদের মাদরাসা থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেয়।

আউটশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেকান্দর বেপারী বলেন, ঘাট দিয়ে পারাপার হতে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। আমি নিজেও জরুরি প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে এই ঘাট দিয়ে নৌকায় পার হই। এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হতো। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com