সিএনএম প্রতিনিধিঃ
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার মধ্যে গৃহবধূকে (৪৫) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৩১ মে) বরিশাল নগরীর সাগরদী ধান গবেষণা এলাকার ওই গৃহবধূ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ নিজেই কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আসাদুল তাকে থানায় এসে দেখা করতে বলেন। গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ কোতোয়ালি মডেল থানায় যান। এসআই আসাদুল ওই গৃহবধূকে তার কক্ষে নিয়ে যান। এরপর নানা অজুহাত দেখিয়ে তাকে দীর্ঘসময় বসিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে স্বাক্ষর নেয়ার অজুহাত দেখিয়ে গৃহবধূর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।
তারপর জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরেন। এ সময় গৃহবধূ প্রতিবাদ করলে এসআই আসাদুল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এদিকে ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মস্থল থেকে বাসায় আসেন। স্ত্রীর দেরী দেখে থানায় গিয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে এসআই আসাদুলের কক্ষে গিয়ে তিনি হাজির হন। তখন গৃহবধূর কাছ থেকে দূরে সরে যান আসাদুল। পরে এ ঘটনাটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে জানালে, তিনি একজন নারী এএসআই দ্বারা তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন।
এদিকে গত ২৩ মে বাদী ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে জানতে পারেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। মিথ্যা আশ্বাসের বিষয়টি বাদী বুঝতে পেরে থানায় লিখিত এজাহার দিতে চাইলে তারা সেটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এ ব্যাপারটি থানার সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মিথ্যা আশ্বাসের কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।
মামলার বাদীর আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।