সিএনএম প্রতিবেদকঃ
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মালয়েশিয়ায় চলছে লাগাতার লকডাউন। চলছে সরকারের কড়া বিধিনিষেধ। এর মধ্যেই গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে চালু হয়েছে অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া। তাই জরুরিভাবে দরকার পাসপোর্ট। এসবের মধ্যেও অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অব্যাহত রয়েছে পাসপোর্ট বিতরণ। ফলে দূতাবাসের ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাও থেমে নেই কাজ। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ছুটির দিনসহ বিরতিহীন পরিশ্রম করে গ্রহণ করা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার পাসপোর্টের আবেদন। আবেদন গ্রহণ করা পাসপোর্টগুলো এখন প্রস্তুত প্রবাসীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য। এতে সূচনা হয়েছে নতুন এক ইতিহাসের।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল পেইজে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় বর্তমান বৈধকরণ কর্মসূচি রিক্যালিব্রেশন চালু থাকার প্রেক্ষাপটে পাসপোর্ট নবায়ণের (রি ইস্যু) জন্য গত ১ নভেম্বর ২০২০ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ডাকযোগে পাওয়া প্রায় এক লাখ ১০ হাজার আবেদন হাইকমিশন কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। উক্ত পাসপোর্টের আবেদন রি-ইস্যুর জন্য সার্ভারে এনরোলমেন্ট পুরোপরি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুর মাত্র তিন মাস সময়ের মধ্যে এই বিপুলসংখ্যক আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম হয়েছে। যা বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাগুলোর যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে ও দূতাবাসের বিদ্যমান সীমিত জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে রাত দিন একটানা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ইতোমধ্যে হাইকমিশনের প্রায় ১০ থেকে ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আল্লাহর রহমতে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।