সিএনএম প্রতিনিধিঃ
সড়কে চলতে গিয়ে ছিনতাই কিংবা টানা পার্টির খপ্পরে পড়তে হয়। রিকশা থেকে পড়ে গিয়েও জীবনহানির হওয়ার উপক্রম হয়। মূলত এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ৮ টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দৈনন্দিন চলাচলে এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা নগরবাসীকে অনুরোধ করেছেন।
রোববার (১৬ মে) সন্ধ্যায় ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
পরামর্শ
১. চলাচলের সময় যানবাহনে উঠলে প্যান্টের পেছনের পকেটের ওয়ালেট বা মোবাইল ফোন রাখা নিরাপদ নয়। প্রয়োজনে সামনের পকেটে রাখুন। মোবাইলটি হাতেও রাখতে পারেন। তাহলে ছিনতাইকারী নিতে পারবে না।
২. থানার মোবাইল নম্বর সার্বক্ষণিক সঙ্গে রাখুন। মানিব্যাগ নিরাপদে সংরক্ষণে রাখতে হবে।
৩. প্রয়োজনে অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে সঙ্গে সঙ্গে রক্ষা পেতে ৯৯৯ এ ফোন করা যেতে পারে।
৪. রিকশায় কোথাও যাওয়ার সময় কোলে ব্যাগে রাখবেন না। মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে ছিনতাইকারী এসে হ্যাচকা টান দিতে পারে। এতে করে আপনি রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। ব্যাগ থাকলে তা দুই যাত্রীর মাঝখানে রাখুন। রিকশার হুড তুলে রাখবেন। এক যাত্রী হলে নিরাপদভাবে ব্যক্তিকে রাখতে হবে।
৫. অনুমোদিত রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহনে যাতায়াত করবেন না। অনুমোদনবিহীন যানবাহনে যাতায়াত না করাই ভালো।
৬. মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেটকারে অপরিচিতর সঙ্গে যাতায়াত করা যাবে না। সম্ভব হলে কোন গাড়িতে উঠলে ওই গাড়ির নম্বর লিখে রাখুন। কাছের কাউকে পরে নম্বরটি দিয়ে রাখতে হবে।
৭. নির্জন সড়ক বা গলিপথ দিয়ে একা চলাচল থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে খুব ভোরে সড়কে চলাচল করা থেকে বিরত থাকুন।
৮. রাতে আলো আছে এমন সড়কে চলাচল করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়ক কোনভাবেই নিরাপদ হতে পারে না।
পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, নগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে। তারপরও এসব বিষয়গুলো সচেতনভাবে মোকাবিলা করলে সেক্ষেত্রে নিজের নিরাপত্তা নিজেই অনেকাংশে রক্ষা করতে সহজতর হবে।