বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের শরণখোলায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক, নারী নির্যানতসহ ১৭ মামলার আসামী চিহ্নিত সাইফুল ইসলাম (৩৫) এলাকায় এমন কোন অপরাধ নেই যা সে করেনি। তার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ভয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত থাকতো। যুবতি মেয়েরা ঘর থেকে বের হতে সাহস পেত না।
একপর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার পা ভেঙ্গে দুই চোখ নষ্ট করে দেয়। এসময় সাইফুলের চিকিৎসায় তার পিতাও এগিয়ে আসেনি। পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা চক্ষু বিজ্ঞান ইনিষ্টিটিউটে। ঢাকায় গিয়ে ছিনতাইকারী সাইফুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে হয়ে যাচ্ছে নিরীহ যুবক। তিনি ও তার পরিবার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জমিজমার কাল্পনিক বিরোধের কথা বলে বিভিন্ন মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের এখন ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
শনিবার বেলা ১১টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে শরণখোলা কিশোর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এলাকাবাসীর পক্ষে এ অভিযোগ করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আ. রহিম, সাবেক ইউপি সদস্য সোলাইমান মিয়া, সাইফুলের হামলার শিকার ইব্রাহিম মোল্লা, সাইফুল ইসলাম শুকুর, আসলাম মিয়া, বাসার হাওলাদার, কলেজ ছাত্র রমজান হোসেনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা জানান, এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী রবিববার সকালে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানাবে।
সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, সাইফুলকে আহত অবস্থায় পাওয়ার পরে চিকিৎসার জন্য তারা পিতা নুরু মোল্লাকে জানালে প্রথমে তিনি ওই অপরাধী ছেলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান। পরে তিনি টাকা দিয়ে সাইফুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরু মোল্লাকে অনুরোধ করে খুলনায় পাঠান। কিন্তু অন্যকারো ইন্ধনে এখন তারা ভিন্ন কথা বলছে।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, সাইফুল এলাকায় একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী, ডাকাত ও ছিনতাইকারী। তার কারনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। তার পিতা নুরু মোল্লাও ছেলের বিরুদ্ধে আমার কাছে নালিশ দিতো। কিন্তু তারা এখন যে কথা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাংবাদিকদের উচিত যাচাই-বাছাই করে সংবাদ পরিবেশন করা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, সাইফুলের নামে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ ১৭ টি মামলা রয়েছে। তবে কারা তার পা ভেঙ্গে চোখ নষ্ট করে দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যপারে তার পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও শরণখোলা থানার ওসি সাইফুলের তাকে জানায় সাইফুলের চিকিৎসায় তার পিতা ও অত্মীয় স্বজন কেউ আসছেনা বলে জানালে তিনি মানবিক বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা য়ো হয়।