মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

ছাতকে শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল নুর এখনও বহাল তবিয়তে

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ৮.৫৩ পিএম
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

সিএনএম প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের ছাতক রেলওয়ের কর্মকর্তার চেয়ার দখলে নিয়েছেন শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল নুর। তিনি রেলওয়ে সিলেট শাখার শ্রমিকলীগের প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রমিকলীগের সাবেক সহ সভাপতি। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এর নাতিন জামাই পরিচয়ে ছাতক-ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে সম্পদ লুটপাট চালানোর মূলহোতা হচ্ছেন এই আদুল নুর।

ইতিমধ্যে রেলওয়ের সম্পদ লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে আব্দুল নুরকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হলেও তিনি আছেন বহাল তবিয়তে।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে আব্দুল নুরকে একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হলেও এমপির ডিও লেটারে বারবার ফিরে আসেন ছাতকে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের পরও রহস্যজনক কারণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল নুর ছাতক বাজার দায়িত্ব থাকাকালীন সময় সুরমা নদীর পারের স্টককৃত মালামাল, বিআর এন্ড সিএসপির গোডাউনের মালামাল, ভোলাগঞ্জেরে পাথর, বালি বিক্রি করে, নদীর পার, রেলওয়ের বাসা বাড়ি,দোকান কোটা ভাড়া দিয়ে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে রেলওয়ের জমিতে মার্কেট নির্মাণ করিয়া দোকান কোঠা বিক্রি করে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ লুট করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। গাড়ি নম্বর ১১-৬১৬৬, ২০-০২০৩, ১৮-৯৪২৬, ১৬-৯৫৩৮, ১১-০৩৪১, ১৮- ৮৬৫৮, ২২-৬৫৬৩ ট্রাকসহ অন্তত ১২টি মটরযান এবং ২টি নতুন ব্যান্ডের দামি মোটরসাইকেল মালিক হয়েছেন। আব্দুল নুরের গ্রামের বাড়ি হাওর অঞ্চল হওয়ায় ফাউন্ডেশন বাবদ অনেক টাকা খরচ করে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করছেন। আব্দুল নুরের মেয়ে সুর্বনা আক্তারকে আখাউড়া ও ছেলে মাহবুবুল আলমকে ভৈরব বাজারে বদলি করা হলে যোগদান করার পর বদলিকৃত কর্মস্থলে এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত রয়েছেন। মাহবুবুল আলম সরকারের বিনা অনুমতিতে রেলওয়ের চাকুরীতে অনুপস্থিত থাকিয়া মাহবুব এন্টারপ্রাইজ, সিদ্দিক ট্রেডার্স এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমা বাইপাস সড়কে মাহনুর ট্রেডার্স নামে একটি পার্সের দোকানসহ ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বে আছেন বলে জানা গেছে।

২০২১ সালের পর আব্দুল নুরকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হলেও ছাতক সিএসপি, বিআর গোডাউনের চাবি ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র আব্দুল নুর নিজের কাছে রেখে দেন। গোডাউনের চাবি ফাইল পত্র আব্দুল নুরের কাছে থাকায় সময়মতো স্লীপার তৈরি করাসহ দাপ্তরিক কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এর ফলে সরকারি এই প্রতিষ্টান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড় সমান এতো অভিযোগ থাকার পরও স্থানীয় এমপির ডিও লেটার দিয়ে তদবির করে দলীয় প্রভাব কাটিয়ে ২০২৪ সালে ফের ছাতকে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে ছাতকে যোগদান করেন।

ছাতকে যোগদান করার পর বিআর গোডাউনের লোহ জাতীয় মালামাল সিএসপিতে স্থানান্তরের নাম করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল পুরাতন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন। স্লীপার তৈরির ভাঙ্গা পাথর সিমেন্টের খালী বস্তায় ভরে দুই ট্রাক পাথর গ্রামের বাড়ি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ১২জন টিএলআরকে ৭ হাজার টাকা বেতনে রাখা হলেও তাদের প্রতিমাসে মাত্র ৫/৬ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজের পকেটে রাখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আব্দুল নুর প্রায় প্রতি মাসেই সিএসপিতে কর্মরত-কর্মচারীদের নামে এবং নিজের নামে প্রতিমাসে ভুয়া টেবিল তৈরির মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ আছে। অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল নুর বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। একটি কু-চক্রিমহল আমার পিছনে এসব ছড়াচ্ছে। রেলওয়ের মহাপরিচালক, মো. আফজাল হোসেন ও প্রধান প্রকৌশলী,পূর্ব, চট্টগ্রাম আবু জাফর মিয়া ফোন রিবিচ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com