সিএনএমঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে ‘মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে’ জড়ো করার সময় ৫ দালালকে আটক ও ৬১ রোহিঙ্গাসহ মোট ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় আটক দালালদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, একটি রামদা ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আটক দালালরা হলেন—টেকনাফ পৌরসভার শিলবনিয়া পাড়ার আব্দু শুক্কুরের ছেলে মো. রাশেদ (২৫), বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সুলতান আহাম্মদের ছেলে সালেহ আহাম্মদ (৩৫) ও তার ভাই নুরুল কবির (২৭), একই এলাকার রসিদ আহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম (২৪) এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে মো. শিপন (৩২)।
উদ্ধারদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা এবং ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭ জন শিশু রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, রোববার ভোরে টেকনাফে সমুদ্র উপকূলে বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় আবদুল আমিনের বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে কিছুসংখ্যক লোকজনকে জড়ো করার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, ১টি রামদা ও ১টি কিরিচ পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করা ৬৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে।
আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।