সিএনএম প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনার আতঙ্কে অনেক ডাক্তারই আসছেন না। দুর্ভোগে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। এই মোক্ষম সুযোগ নিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে উন্নত সেবা প্রদানের নামে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের প্রতারণা করে আসছিল প্রতারকচক্রের একটি সংঘবদ্ধ দল।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রামেক হাসপাতাল ও তার আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রতারক ও চাঁদাবাজ চক্রের ১৬ সদস্য।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার ও নগর মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে গেলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তাকে জানায় করোনাকালে রামেকে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসা নিতে হলে তাকে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হবে। এভাবে উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায় প্রতারকরা। ক্লিনিকে যাওয়ার পরে তিনি (ভুক্তভোগী) বুঝতে পারেন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।’
উপ-পুলিশ কমিশনার ও নগর মুখপাত্র বলেন, ‘ভুক্তভোগী সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে প্রতারক চক্রটি তার কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ ও মালামাল নিয়ে নেন। এমনকি ঘটনা প্রকাশ করলে ভুক্তভোগীকে গুম-খুনের ভয় দেখান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পুলিশকে ঘটনাটি জানালে রামেক হাসপাতাল ও তার আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সহজ সরল ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার কথা বলেও টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। টাকা পয়সা না দিলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সাসহ সব কেড়ে নেন তারা।
নগর মুখপাত্র জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। রামেক হাসপাতাল ও তার আশপাশের এলাকায় এমন প্রতারক চক্র, দালাল ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।