সিএনএম ডেস্কঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক কর্মকা- অন্তর্ভুক্ত করে একশ’ দিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কর্তন বন্ধে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী আজ রোববার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রথম কর্মদিবসে ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর, সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকা- ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন, বন দখল রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক অর্থ ছাড়ের চেষ্টা করা হবে। পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে পারফর্মেন্সের দিক দিয়ে ১ নম্বরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকা-ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা বা তদ্বির গ্রহণযোগ্য হবে না। গণমাধ্যমকে সার্বিক সহায়তা করা হবে, মিডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও, পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাই অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রি আজ সকাল ৯ টায় মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে আসেন এবং সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেন।
পরে আনুষ্ঠানিক সভায় ১০০ দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের প্রধানগণ সহ বিভিন্ন সংস্থা ও সমিতির নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচছা জানান।