1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নাশকতাকারীদের সহায়তাকারী খোলা বাজারে পেট্রোল,অকটেন বিক্রিয়

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩, ৩.২৬ পিএম
  • ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
নাশকতাকারীদের সহায়তাকারী খোলা বাজারে পেট্রোল,অকটেন বিক্রিয়কারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় মানবাধিকার কর্মীদের লাঞ্চিত।

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

মানবাধিকার সংস্থার কিছু কর্মী অনুসন্ধানকালে গত ০৭/১১/২০২৩ইং আনুমানিক সময় ৫ঘটিকায় ধোলাইপাড় ২৭৩ মেসার্স মনির এন্ড সন্স নামক দোকানের পাশে মেইন রাস্তায় দাড়িয়ে লুজ পেট্রোল অকটেন খুচরা  ও পাইকারী বিক্রয়ের দৃশ্য দেখতে পায়। বিভিন্ন লোকজন বোতল, গ্যালন ও ড্রাম, বিভিন্ন মটর সাইকেল এর টাংকি ভর্তি করে পেট্রোল অকটেন পাইকারী ও খুচরা কিনে নিচ্ছে। আনুমানিক সময় ৫.৫০ মিনিট সময় অনুসন্ধান টিমের এক কর্মীর মোবাইল নম্বর ০১৮৬৫৮১০১৫৪, ০১৯৭৭৯৯৩৯৯৩ এই ২টি নম্বরের একটি নম্বর হতে ৯৯৯-এ কল করে উক্ত বিষয়ে বলে ও লুজ পেট্রোল, অকটেন মেসার্স মনির এন্ড সন্স এ মুহুর্তের মধ্যে শত শত লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি জানালে ঐ মুহুর্তে ৯৯৯ ফোন রিসিভকারী কর্তৃপক্ষ যাত্রাবাড়ী থানার তাৎক্ষনিক ডিউটি অফিসারকে কনফারেন্স এর মাধ্যমে কল ধরিয়ে দেন।

তখন মেসার্স মনির এন্ড সন্স এর লুজ পেট্রোল, অকটেন খোলা বাজারে বিক্রির বিষয় ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ জানার পর যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসার অভিযোগকারীদের অপেক্ষা করতে বলেন কিছুক্ষণ পরেই অভিযোগকারীর ব্যবহৃত নম্বর ০১৮৬৫৮১০১৫৪-এ একজন এস.আই  এর একটি কল আসে যাহার নম্বর-০১৭৪৫০৪২০২১ তার কিছুক্ষণ পর এস.আই. পকেট ব্যাজ-এ লিখা মৃগ্যাংক তিনি জানতে চায় কোথায় লুজ পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি হচ্ছে। অনুসদ্ধানকর্মী আব্বাস ও একজন সাংবাদিক তুহিন তাকে নিয়ে এস.আই এর সাথে থাকা আগত অন্য আরো একজন এ.এস.আই ও তার টিমের পুলিশ সদস্যদের মেসার্স মনির এন্ড সন্স এর লুজ পেট্রোল ও অকটেন খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া দোকান দেখিয়ে দেয় এবং যাচাই করতে বলে এগুলো বৈধ না অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। ঐ মুহুর্তে সাথে থাকা এ.এস.আই ন্যাম প্লেট বেইজ বিহীন পুলিশ সদস্য তার সাথে থাকা মোবাইলে শত শত বোতল ,গ্যালন ও ড্রাম-এ ভর্তি পেট্রোল ও অকটেন এর ভিডিওসহ ছবি তুলে। এস.আই মৃগ্যাংক কোথায় যেন ফোন দিয়ে কথা বলে তারপর দোকান কর্তৃপক্ষ এর সাথে আলাদা কথা বলে, কথা বলার পর জব্দকৃত শত শত বোতল ও গ্যালন ড্রামে ভর্তি পেট্রোল ও অকটেন দোকানে রেখেই পুলিশ সদস্যগণ চলে যায়।

ঐ মুহুর্তেও এস.আই. দোকান কর্তৃপক্ষকে আমাদের দেখিয়ে বলে যে থানায় এরা ফোন দিয়ে আমাদেরকে এনেছে। পুলিশ যাওয়ার সময় মানবাধিকার কর্মীদের আটকাতে বলে তখন পুলিশ তড়িঘড়ি করে সেখান হতে সরে যায় অভিযোগকারী হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশনের সদস্য আব্বাসকে দোকান কর্তৃপক্ষদের ফোনে আসা কিছু মাস্তান তারা আব্বাসকে আটকিয়ে তার গলায় ঝুলানো থাকা আইডি কার্ড রেখে দেয় ও মারধর করে এবং বলে এস.আই মৃগ্যাংক ও তার সাথে আসা টিমের অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ঝামেলা মিট করলাম, এ টাকা তোরা জরিমানা হিসেবে দিয়ে যাবি। আর মনির ভাইর পেট্রোল, অকটেন সারা দেশে সাপ্লাই হয়। তাতে তোদের কি? আর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২/৪ গাড়ি পেট্রোল অকটেন বোমায় জ্বললে মনির ভাই ব্যবসা বন্ধ করে দিব?  লাভের অংশ সর্বত্র দিয়ে ম্যানেজ করেইতো মনির ভাই এ ব্যবসা প্রকাশ্যেই করে আসছে। তখন অনুসন্ধান কর্মীগণ বলে আপনারা যদি বৈধ ব্যবসা-ই করেন তাহলে পত্র-পত্রিকায় আপনাদের নামে রির্পোট আসলো কেন? আর আপনারা যদি বৈধ ব্যবসায় করেন তাহলে পুলিশ আসছে টাকা দিয়ে বিদায় করলেন কেন? একপর্যায়ে আব্বাস অসুস্থ হওয়ায় আব্বাসকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। জরুরী বিভাগের টিকেট সিরিয়াল নং-৫৭৪, রেজি নং-ঝঝগঈগঐ২৩১১৭৭২৮৯৯৪২-৫, তারিখ-০৭/১১/২০২৩ইং সময়:১৯:৩১ মিনিট।
বিভিন্নভাবে খোজ-খবর নিয়ে জানা যায় যে, মনির আজ হতে প্রায় ২৫ বছর আগে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুর-বউ বাজার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডাস-এ চাকুরী করতো। সেখান থেকে তেলে ভেজাল করা কাজ শিখার পর যাত্রাবাড়ী থানাধীন দোলাইরপাড় এসে  ব্যবসা খুলে।  মেসার্স মনির এন্ড সন্স এর প্রোপ্রাইটর মোঃ মনির হোসেন সে দেখতে একজন দরবেশ আউলিয়ার মতো। অথচ তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত একই স্থানে ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল, পেট্রোল এর নামে চোরাই ও ভেজাল  মিশ্রিত করে তেল এর ব্যবসা করে থাকে। বিভিন্ন স্থানে মাসিক মাশোয়ারা দিয়ে পরিচালনা করে।

মনির তার এই ব্যবসার আড়ালে তিনি গ্যাস ফিল্ডের কনডেনসেট তলানী (বাংলা অকটেন) পেট্রোল এর ভেজাল করে থাকে। এটিএফ, এমটিট, এমডিডি, জেডফুয়েল, চোরাই তেল ক্রয় করে থিনার হিসেবে বিক্রয় করে। কুমিল্লা থেকে বার্ণিশ অয়েল এবং সরকারী মশা মারার ঔষধ (এলডিইউ) সায়েদাবাদের আইডিয়াল স্কুলের সংলগ্ন মসজিদের পাশে থাকা মফিজের মাধ্যমে ক্রয় করে থাকে। তার সমস্ত চোরাই কাজে সাহায্য করে তার মেয়ের জামাই শাহ জালাল। নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড, গোধনাইল, পদ্মা ডিপোর পাশে তাহার আছে ট্যাঙ্কলরী ব্যবসা। দোলাইরপাড়ে আছে ২টা চোরাই তেলের গোডাউন র‌্যাব-১০ যাত্রাবাড়ী এর কার্যালয়ের উত্তর পাশে আল-করিম ভিলা গলি ও তার পাশের গলিতে রয়েছে বিশাল গোডাউন ও অবৈধ ভেজাল তেল মিশ্রিত করার বিশাল একটি কড়াই, কড়াইয়ের মধ্যে বিভিন্ন ভেজাল মিশ্রিত করে। এছাড়া অন্য গোডানের ভিতরে মাটির নিচে আছে ২টি টাংকী এছাড়াও দোলাইরপাড় মোড়ে বনফুল মিষ্টির দোকানের উল্টো পাশে, সাহারা টাওয়ার নামে রয়েছে মনিরের একটি নতুন নির্মিত টাওয়ার, ঐ টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ডে মাটির নিচে পেট্রোল, অকটেন রাখার পেট্রোল পাম্পের মতো গভীর টাংকি ।
এছাড়া ঐ আন্ডারগ্রাউন্ডে একটি অবৈধ ভেজাল তেল রাখার বিশাল গোডাউনও রয়ছে বটে সেখানে মাঝে মাঝে দেখা যায় তেল বোঝাই অনেক ট্যাংক লরি, অথচ পেট্রোল পাম্প ছাড়া কোন দোকানে বা গোডাউনে টাংকী করার সরকার কোন বৈধতা দেয় না। যে কোন সময় সেখানে দাহ্য পদার্থ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে এলাকাবাসী। এছাড়াও ২৭৩ নং হোল্ডি এর মেসার্স মনির এন্ড সন্স দোকানের পিছনের গলির বিভিন্ন বাড়িতে রয়েছে অনেক অবৈধ তেল রাখার গোডাউন। ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পানগাও এলাকায় রয়েছে বিশাল অবৈধ তেলের গোডাউন। আরো জানা যায় যে, মনির দোলাইপার এর এই দোকান হতে সারা বাংলাদেশে অবৈধ খোলা বাজারে তেল বিক্রেতাদের পেট্রোল অকটেন বিভিন্ন পিকআপ ভ্যানে করে সুযোগ বুঝে দেশের পাইকারী ব্যবসায়ীদের তেল সরবরাহ করে থাকে।
খোজ নেওয়ার সময় নাম গোপন রাখার শর্তে মনিরের এক কর্মচারী বলেন-পেট্রোল অকটেন বিক্রি করতে হলে একটি পেট্রোল পাম্পের যত ধরনের সরকারি পেট্রোল অকটেন বিক্রির কাগজপত্র দরকার হয় কিন্তু মেসার্স মনির এন্ড সন্স দোকানের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর কোন কাগজপত্র নাই বললে চলে। যেমন-১. ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র   ২. প্রধান বিষ্ফোরক অধিদপ্তর   ৩. এলাকার বসবাসকারী মানুষের নো অবজেকশন পত্র     ৪. পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র    ৫. বিএসটিআই এর মাপ যন্ত্র (কেলিভিশন) ছাড়পত্র  ৬. জ্বালানী ও খনিজ মন্ত্রনালয়ের ছাড়পত্র   ৭. ভ্যাট-ট্যাক্স এর বৈধ কাগজপত্র সহ অনেক কিছুই নাই মনিরের। আর তার এখানে কেউ আসলে যে ধরনের কিছু কাগজপত্র দেখায় তাহা অবৈধভাবে করা।

প্রতিদিন রাতে যখন তাদের বানানো ভেজাল তেল কালার কালার জন্য তৈলের ভিতরে রং, স্প্রিট মেশানো হয়। তখন উক্ত এলাকা বিশ্রি গন্ধে ভরে যায়। দোলাইপাড় আরো একটি স্পেশাল গোডাউন রয়েছে। ঐখানে চোরাই ট্রান্সমিটার অয়েল, লুব ওয়েল রাখে। দৈনিক ৫০-৬০জন লোক তার পাহারায় থাকে। কেহ কোন কিছু জিজ্ঞসা করলে বলে যে, লেবাররা কাজ করার জন্য আসছে তবে দোকান বা গোডাউনের সামনে অপরিচিত কাউকে দেখলেই তার উপর নজরদারী করতে থাকে লেবার পরিচয় দানকারী ব্যক্তিরা, তাড়াছা সে যাতে সুষ্ঠভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে কখনো কোন মাস্তান প্রয়োজন হলে ফোন দিলেই যেন পায় সেজন্য তার দোকান থেকে এলাকার মাস্তানদের জন্য দৈনিক খরচ হিসে মোটা অংকের  বাজেট থাকে।

তবে মনির ১৯৯৯ সালে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুর বউ বাজার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডাস-এ ১২ হাজার টাকার বেতনে চাকুরী করতো  সেখান হতে তেল ব্যবসায়ীর কাছ হতে তেলে ভেজাল এবং বিক্রি করা ও সরবরাহ করা ভালোভাবে শিখে ২৭৩নং হোল্ডিং-এ এসে একটি ট্রেড লাইসেন্স এর মাধ্যমে তেল ব্যবসা শুরু করে। তখন মনির প্রায় ৩০০০ হাজার টাকা বাসা ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে থাকতো। ভেজাল অবৈধ তেল ব্যবসা করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে তার কিছু কর্মচারী ও এলাকাবাসী বলেন-বর্তমানে মুনির প্রায় ১০০০ কোটির টাকার মালিক বনে গেছে। দোলাইরপাড়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার ও তার মেয়ের জামাই ও আত্বীয়-স্বজনসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের ভয়ে এবং ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য নামে-বেনামে রয়েছে শত শত কাঠা জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট বিভিন্ন জাতের মটরযান, পিকআপ গাড়ী। সারা দেশের রাস্তা-ঘাটের দোকানে খোলা বাজারে বোতলজাত যত তেল বিক্রি করতে দেখা যায় ৮০% তেলই মেসার্স মনির এন্ড সন্স হতে সরবরাহ করা হয়। এজন্য মনিরের প্রায় ৫০টির মতো পিকআপ ও ট্রাক এবং ২০টির মতো ভ্যান গাড়ি রাজধানীসহ সারাদেশে তেল সরবরাহ করতে প্রায় শতাধিক শ্রমিক রয়েছে। তবে বাংলাদেশে গাড়ি পোড়ানোসহ পেট্রোল বোমায় যত নাশকতা হয় বেশির ভাগ তেলেই মেসার্স মনির এন্ড সন্স হতে সরবরাহকৃত তেল।
নাম গোপন রাখার শর্তে অভিযোগকারী ব্যক্তিরা আরো বলেন- মনিরকে কেউ কিছু বলে না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় অসাধু সর্বমহলকে ম্যানেজ করা আছে বিধায়।
এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন মনিরের খোলা বাজারে পাইকারী ও খুচরা বাজারে তেল বিক্রি দ্রæত বন্ধ করা প্রয়োজন এবং যদি বিক্রি করে তাহলে সরকারী বিধি মোতাবেক বৈধতা থাকা প্রয়োজন। তা নাহলে দেশে বিভিন্ন নাশকতা দিন দিন সহজেই বৃদ্ধি পাবে।
উক্ত বিষয়ে এইচ.আর.এইচ.এফ. এর কর্তৃপক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, র‌্যাবের মহা-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com