সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালী মহল নানবিধ পন্থায় ভূমি ব্যবসার নামে বিভিন্ন ফন্দি-ফিকির করে ভূমি জবর-দখল করে আসছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রামগঞ্জ ঢাকা শহরসহ নানা এলাকায় বছরের পর বছর মামলা মোকাদ্দমা করে আসছে। কেউ কেউ বাপ-দাদার করা মামলা নাতিরাও চালিয়ে যাচ্ছেন। এরকম চিত্রের হরহামেশাইয় দেখা মিলে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করে বাদী পক্ষ আদালতের রায় পাওয়ার পরে স্থানীয় প্রভাব না থাকায় প্রভাবশালীদের প্রতি হিংসা ও সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভূমি দখল নিতে পারে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শরিয়তপুর জেলার পালং থানাধীন তুলাসার গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ আল-আমিন, মামলায় জেতার পরেও অদ্য পর্যন্ত জমিতে দখলে যেতে পারেন না। পারেন নাই বিধায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট সচিব, আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি, শরিয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে যাহা উল্লেখ করেছেন, আলআমিন অভিযোগে বলেন-
সাবেক জেলা ফরিদপুর হালে শরিয়তপুর, থানা-পালং অধীন ৬০নং পালং মৌজার এস.এ ৭২১ নং খতিয়ানে ৩০৫নং দাগে যাহা বি.আর.এস ৫০৪নং এজারত খতিয়ানে ৪৮০৮নং দাগে ৩২ শতাংশ ভূমি হইতে আমি ০৮ শতাংশ ভূমি খরিদমূলে মালিক হই। জমি কিনার পর হতেই উক্ত জমিতে যেতে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বরিশাল জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিনগং ও তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দলবল দিয়ে আমাকে জমিতে যেতে বাধা প্রদান করে। দখল উচ্ছেদ করতে চায়, আমি নিরুপায় হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রতিকার না পেয়ে শরিয়তপুর জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। একপর্যায়ে আদালতের বিচারক আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন। বিবাদী বরিশাল জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিনগং মামলায় হেরে গিয়ে তার ক্ষমতার দাপটে নানা ধরনের সন্ত্রাসী ও অসাধু আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্য আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে যাতে আমি আমার খরিদানা জমি ভোগ-দখল করতে না পারি।
আল-আমিন বলেন, বরিশাল জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিনগংদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানো অবস্থায় গত ২৩/০৮/২০২৩ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায়, আমি বাসায় ফেরার পথে একটি সাদা মাইক্রো আমার সামনে থামায়। উক্ত মাইক্রো থেকে সাদা পোষাকধারী ৪/৫জন লোক মাইক্রো হতে নামে এবং তারা নিজেদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেয় এবং বলে তারা শরিয়তপুর হতে এসেছে, আমাকে ধরে নিয়ে যেতে। আমাকে ধরে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলে বরিশাল জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন স্যারের অর্ডার, এতে কোন কারণ লাগবে না। আমাদের সাথে গেলেই দেখতে পারবি আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সংস্থা থেকে এসেছি। একপর্যায়ে আমাকে মাইক্রোতে জোরপূর্বক উঠানোর জন্য টানাহেচড়া করে এরই মধ্যে পথচারী লোকজন জড়ো হতে থাকলে তাহারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলে আমি যেন জমিতে না যায়। এ ধরনের হুমকি দিতে থাকে, তারা চলে যাওয়ার সময় বলে আমি যদি উক্ত জমির মালিকানা দাবী করি বা জমিতে কোন সীমানা দেওয়াল টানি বা আবাদ করি তাহলে সুযোগ বুঝে আমাকে অপহরণপূর্বক নিয়ে গিয়ে আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করিয়া ফেলবে। নয়তো উক্ত জমিতেই হত্যাপূর্বক মাটিতে পুতে রাখা হবে, তখন আমি বলি দুনিয়াটা কি এত সহজ, এত সোজা? দেশে কি আইন-কানুন নাই। তখন তারা বলে বরিশাল জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন-এর শরিয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার নামে-বেনামে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার কাঠা জমি রয়েছে। যাহা অবৈধ টাকায় কেনা, তাই বরিশাল জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিনকে কেউ কিছু ছিড়তে পারে নাই। আর তোকে মেরে ফেললে বরিশাল জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন স্যারের কিছুই হবে না। বাংলাদেশের অনেক এসপি, ডিসি তার কথায় উঠে-বসে এ কথা বলে আমাকে শাসিয়ে চলে যায়।
অভিযুক্তদের খোজাখুজি করে স্বাক্ষাত না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।