1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

যেমন আছেন হারিয়ে যাওয়া নায়িকারা

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১, ৪.১০ পিএম
  • ৪১০ বার পড়া হয়েছে
যেমন আছেন হারিয়ে যাওয়া নায়িকারা

সিএনএম ২৪ডটকমঃ

একটা সময় ঢালিউড পাড়ায় অনেক হট তারকা ছিল। যারা দর্শক হৃদয়ে জেগে উঠেছিলেন স্বীয় কর্মকাণ্ডে।

সে সময় টাতে আলোর ঝলক নিয়ে আসা অনেক তারকাই আজ নেই, থাকলেও তাদের খোঁজ নেই। তৎকালীন সময়ে আলোর ঝলকানি দিয়ে হারিয়ে যাওয়া হট তারকারা কে কি করছেন জেনে নিন।

নায়িকা সোনিয়া:

নব্বইয়ের দশকের ব্যস্ত নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নায়িকা সোনিয়া। ১৯৯১ সালে ‘মাস্তান রাজা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সোনিয়ার চলচ্চিত্র অভিনয় শুরু। এরপর প্রয়াত নায়ক রাজ রাজ্জাকের নির্দেশনায় বাপ্পারাজের বিপরীতে ‘প্রেম শক্তি’ ছবিতে প্রথম নায়িকা চরিত্রে কাজ করেন। ৫০টির অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী। যার মধ্যে বেশ কিছু সিনেমা ব্যবসাসফলও হয়েছে। সালমান শাহ, বাপ্পারাজ, রিয়াজসহ সে সময়কার প্রথম সারির নায়কদের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি নাটকেও অভিনয় করতেন। কিন্তু প্রায় ১০ বছর ধরে সব ধরনের অভিনয়ের বাইরে তিনি। কয়েক বছর আগে বিয়ে করে প্রবাসী স্বামীর হাত ধরে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন। তিনি সেখানকার নাগরিকত্বও হয়েছেন। বৈবাহিক জীবনে সোনিয়া তিন সন্তানের জননী। লন্ডনে হাসি নামেই সবার কাছে পরিচিত তিনি। সোনিয়া সর্বশেষ অভিনয় করেন ‘শুভ বিবাহ’ ছবিতে।

নায়িকা লিমা:

জীবন রহমান পরিচালিত প্রেম যুদ্ধ ছবিতে ১৯৯৪ সালের শেষের দিকে সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নায়িকা লিমা। পরের বছর দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘কন্যাদান’ ছবিতেও দেখা যায় এই জুটিকে। কিন্তু ১৯৯৫ সালের পর থেকেই অনেকটা হারিয়ে যান এই নায়িকা।

নায়িকা রাভিনা:

১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল মোহাম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ ছবিটি। সেসময় ব্লকবাস্টার ও ব্যবসাসফল হওয়া এই ছবিটি ছিল চিত্রনায়ক রিয়াজের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এই ছবির ‘পড়ে না চোখের পলক’ গানটি হয়ে উঠল সবার প্রিয় গান। সদ্য প্রেমিক হয়ে উঠা ছেলেটির মুখে ছাড়াও গানটি শোনা যেত গানপ্রেমীদের মুখে মুখে। আর সেই সুবাদে ছবিটি তো সুপারহিট হলোই, রিয়াজ হয়ে গেলেন তারুণ্যের হার্টথ্রব।

প্রাণের চেয়ে প্রিয় ছবিটির ব্যাপক সাফল্যের পর রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধে আবারও হাজির হয়েছিলেন ‘সাবধান’ ও ‘দলপতি’ সিনেমায়। ছবি দুটিও সাফল্য কুড়িয়েছিল, সেই সঙ্গে রাভিনাও। কিন্তু এরপর আর রাভিনাকে দেখা যায় নি পর্দায়। কোথায় হারিয়ে গেছেন তার আজও কোন খোঁজ নেই কারও কাছে। বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে এতটুকু জানা যায় যে মুম্বাইয়ের নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পেলেও রাভিনা কলকাতারই মেয়ে। সেখানেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তবে তিনি ক্যারিয়ার গড়তে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি সাফল্য পাননি। জানা যায়, এখন তিনি কলকাতাতেই আছেন।

নায়িকা একা:

এক সময়ের আলোচিত নায়িকা একা। গুণী নির্মাতা কাজী হায়াতের ‘তেজী’ এবং ‘ধর’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে নায়ক মান্নার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন এই নায়িকা। সে সময় এ জুটিকে বেশ গ্রহণ করেছিল দর্শক। চলচ্চিত্রমহলে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই নায়িকা। অভিনয় করেছেন নায়ক রুবেলের বিপরীতে ‘বাবা কেন আসামি’ ছবিতেও। এখানেও নজর কাড়তে সক্ষম হন তিনি। নায়ক মান্না মারা যাওয়ার পরও একাধিক নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন।

শাকিব খানের বিপরীতে ‘আজকের দাপট’ আলেকজান্ডার বোর সঙ্গে সর্বাধিক ছবিতে অভিনয় ছাড়াও ৩০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু সেভাবে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একার নামে মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠলে তিনি আমেরিকা চলে যান। এরপর ২০১২-১৩ সালে দেশে ফেরেন। এরপর থেকে চলচ্চিত্রে আর দেখা যায় নি এই নায়িকাকে। বিদায় জানিয়েছেন চলচ্চিত্রকে। তবে বিদায় জানালেও হুটহাট হাজির হন কাছের মানুষদের প্রোগ্রামে, কিন্তু সেটা অনেকটা আড়ালেই বলা চলে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৭-১৮ মেয়াদের নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন একা। কিন্তু নির্বাচনে তার ভরাডুবি হয়েছে। এরপর গেল বছরের শেষের দিকে চিত্রনায়িকা রত্নার জন্মদিনে তার বাসায় এসেছিলেন একা। সেখানে অনুষ্ঠানে পারফর্মও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর তাকে আর দেখা যায় নি। তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পর্যায়ে অনেকেই বলেছেন অনেকদিন ধরেই একার কোন খোঁজ নেই। তারাও নিজ থেকে যোগাযোগ করেন না।

নায়িকা জেবা:

তুমি চাঁদের জোছনা নও, ফুলের উপমা নও/ নও কোন পাহাড়ি ঝর্ণা, তুমি হৃদয়ের আয়না… এই গানটি সকল শ্রেণির দর্শকদের মন কেড়েছিল। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া মুখলেছুর রহমান পরিচালিত ‘হৃদয়ের আয়না’ ছবিটির কথা হয়তো অনেকেরই মনে নেই। কিন্তু এই গানটি ছিল সাড়া জাগানো একটি গান। মিষ্টি প্রেমের রোমান্টিক গল্পের এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সেই সময়ের হার্টথ্রব নায়ক রিয়াজ। ছবিটিতে রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন নবাগতা জেবা।

তার আসল নাম জেবা হলেও আয়না নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। হৃদয়ের আয়না ছবিতে অভিনয়ের পর আয়না নামেই পরিচিতি পান। মিষ্টি প্রেমের এ ছবিতে ‘আয়না’ চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। ওই এক ছবি করার পরই হারিয়ে যান এই নায়িকা। আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি তাকে। জেবা হারিয়ে গেলেও ‘হৃদয়ের আয়না’ ছবিতে কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া ‘তুমি চাঁদের জোছনা নও’ এবং ‘কেন আঁখি ছলছল, ওই চুল এলোমেলো’ গান দুটি এখনও গেঁথে আছে দর্শক হৃদয়ে।

‘পাগল মন মন রে, মন কেন এত কথা বলে’ দিলরুবা খান ও আগুনের কণ্ঠে এই গানটি নব্বইয়ের দশকে মানুষের মুখে মুখে ছিল। এমনকি আজও পর্যন্ত গানটি জনপ্রিয়। এই গানের সঙ্গে পর্দায় ঠোট মিলিয়েছিলেন মেহেদী ও অন্তরা। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবির ব্যবসাসফল পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল বাজি ধরলেন নতুন জুটি দিয়ে ছবি করার। ‘পাগল মন’ ছবিতে মেহেদীর বিপরীতে নিয়ে এলেন নতুন মুখ অন্তরাকে। রোমান্টিক ছবির গুণে নতুন এ জুটি স্মরণীয় হয়ে গেল দর্শকের কাছে। ছবি হয়ে গেল সুপারহিট। ‘বালিকা হলো বধূ’ ছিল অন্তরা-মেহেদি জুটির পরবর্তী ছবি ছিল। এ ছবিটিও বেশ আলোচিত ছিল। ছবিতে অন্তরার চঞ্চল অভিনয় অনবদ্য ছিল। তার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য একটি ছবি এটি। তারপর মেহেদীর সঙ্গে তার একটা জুটি গড়ে উঠেছিল। একসাথে কাজ করেন ‘গরিবের অহংকার’ নামে আরেকটি ছবিতে।

নায়িকা অন্তরা:

অন্তরার আসল নাম পারভীন আক্তার লাকী। কিন্তু অন্তরা নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে এসেছিলেন অন্তরা। ঐতিহাসিক ঘটনার ওপর নির্মিত ‘সিরাজউদ্দৌলা’ ছবিতে প্রবীর মিত্রের মেয়ের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনীত ‘বোনের মতো বোন’ বেশ দর্শকপ্রিয় একটি ছবি। অন্তরা তার সময়ের প্রথম সারির নায়কদের সাথেই ছবি করেছে। অমর নায়ক সালমান শাহ’র সাথে ‘প্রেমসন্ধি’ নামে একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।

ছবিটির মহরতও হয়েছিল। সালমানের অকাল মৃত্যুর জন্য ছবিটি আর হয়নি। ছবিটি হলে তার ক্যারিয়ারে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ যোগ হয়ে থাকতো। অন্তরার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে– দোলন চাঁপা, শয়তান মানুষ, সুখের আশায়, লাঠি, প্রেমের কসম, পাগলা বাবুল, হাঙর নদী গ্রেনেড, আলিফ লায়লা, ফজর আলি আসছে, আমার মা, নাগ-নাগনীর প্রেম, আমার মা, নিষ্পাপ বধূ। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়। তবে অন্তরাকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন তার পরিবার। চোখের আড়াল হলেও মনের আড়াল হননি অন্তরা। আজও তিনি রয়ে গেছেন বহু দর্শকের অন্তরে।

নায়িকা সিমলা:

বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক সম্ভাবনাময় নায়িকা সিমলা। যিনি অভিষেক ছবিতেই ‘ফুলি’ এবং ‘সিমলা’ নামের দুটি চরিত্রে অভিনয় করে জিতে নিয়েছিলেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। পরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকনের ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ওই ছবিতে সিমলার অভিনয় দেখে অনেক চলচ্চিত্র বোদ্ধাই তাকে নিয়ে নানা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর আলো ছড়াতে পারেননি এ নায়িকা। বরং ছড়িয়েছেন সমালোচনা। ২০১৫ সালে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ নামের একটি ছবিতে ১৫ বছরের এক বালকের নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচিত হন তিনি।

ছবিতে ওই বালকের সঙ্গে একাধিক যৌনদৃশ্যে দেখা গেছে তাকে। ‘ম্যাডাম ফুলি’র পর আর কোনো ছবিতেই সাফল্যের দেখা পাননি তিনি। তবে ‘ম্যাডাম ফুলি টু’ দিয়ে খুব শিগগিরই তিনি চলচ্চিত্রে ফিরে আসছেন বলে শোনা গেলেও আর ফিরে আসেন নি তিনি। এদিকে কিছুদিন আগে আবারও নতুন করে সমালোচনার শিকার হন এই নায়িকা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিমান ছিনতাইকারী ঘটনা নিয়ে সমালোচনার শিকার হন। পলাশ নামের এক ছেলেকে অনেকটা গোপনে বিয়ে করেছিলেন সিমলা, পরে আবার তাকে ডিভোর্সও দিয়েছেন। এর পরই তার সাবেক স্বামী চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই করার সময় নিহত হন। নিহত হওয়ার আগে জানিয়ে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী সিমলার কথা। এরপরই সিমলার বিয়ে বিচ্ছেদ সহ নানা ঘটনার শিকার হন তিনি।

নায়িকা রত্না:

২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লিখান রত্না। সেলিম আজম পরিচালিত এ ছবিতে তিনি নায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন। তবে একই বছর কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ইতিহাস’ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে সবার নজরে আসেন এই নায়িকা। তার অভিনীত ছবির সংখ্যা ৪৮। ২০১৫ এর শুরু দিকে হঠাৎ করেই ধস নামে রত্নার ক্যারিয়ারে। সেই ধসেই হারিয়ে যান চলচ্চিত্রের সম্ভাবনাময় এ নায়িকা। এরপর ছোট পর্দায় অভিনয় করে টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। শেষমেশ সেটাও পারেন নি।

নায়িকা ইরিন:

সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে এসেছিলেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। তার সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সালমান শাহ। এদিকে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন জামান। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে আসেন ইরিন। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ওই ছবিতেই একটু সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে তাকে দেখা গেলেও নজর কাড়তে পারেননি পরিচালক, প্রযোজক বা দর্শকদের। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়িকা হিসেবে অল্পবিস্তর সুনাম আছে ইরিন জামানের। ২০১৪ সালের এপ্রিলে ‘মধুরাত’ এবং ‘তোমায় দেখবো ছুঁয়ে’ নামের দুটি অ্যালবাম মুক্তি পায় তার। এরপর থেকে খবরে নেই এই নায়িকা-গায়িকার। স্বামী-সন্তান নিয়ে থিতু হয়েছেন প্রবাসে। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হয়েছিল হালের সুপারস্টার শাকিব খানেরও। শাকিব রয়ে গেলেও হারিয়ে গেছেন ইরিন।

নায়িকা তামান্না:

আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় ১৯৯৫ সালে স্টারশিপের একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার মধ্য দিয়ে মিডিয়াতে অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা তামান্নার। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সাইফুল আজম কাশেম পরিচালিত ‘ত্যাজ্যপুত্র। এতে তার নায়ক ছিলেন বাপ্পারাজ। চলচ্চিত্রের আলোচিত জুটি মৌসুমী-ওমর সানীও থাকা সত্ত্বেও প্রথম ছবিতেই নজর কেড়েছিল তামান্নার অভিনয়। ‘ত্যাজ্যপুত্র’ ছবির শুটিং চলাকালীনই তিনি কাজ করেন শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ভন্ড’ ছবিতে। কুংফু হিরো হিসেবে খ্যাত রুবেলের বিপরীতে এ ছবিতেও আলো ছড়িয়েছিলেন তামান্না। ২০১৩ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত শেষ ছবি মঈন বিশ্বাসের ‘পাগল তোর জন্য রে’। কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই দেশ ছেড়ে, অভিনয় ছেড়ে সুইডেনে পাড়ি জমান এই নায়িকা। স্বামী নিয়ে স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস করছেন। তবে ইদানিং সময়ে শোনা যাচ্ছে তিনি আবারও অভিনয়ে ফিরছেন। তিনি নিজেও জানিয়েছেন যে তিনি সিনেমায় ফিরছেন। বেশ কয়েকবার বললেও এখন পর্যন্ত তাকে আর দেখা যায় নি।

নায়িকা পলি:

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে যখন অশ্লীলতা গ্রাস করেছিল তখন অনেক নায়িকায় অভিনয় ছেড়ে দেন। চিত্রনায়িকা ময়ূরী ও পলি তাদেরকে অশ্লীল চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে অভিহিত করা হয়। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘ফায়ার’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পলির। প্রথম ছবিতেই তার বিপরীতে অভিনয় করেন নায়ক মান্না। প্রথম ছবিতেই হন বিতর্কিত। ব্যাংককে ছবিটির চিত্রধারণ করার সময় সেখানে নগ্ন হয়ে নেচেছিলেন পলি, যদিও হলে প্রদর্শনের সময় সেই অংশটুকু দেখানো হয়নি। এরপর একের পর এক চলচ্চিত্রে নগ্ন বা অর্ধনগ্ন হয়ে অভিনয় করতে থাকেন পলি। সারাদেশ ব্যাপি বিতর্কিত হতে থাকেন। নায়ক মান্না ছাড়াও শাকিব খান, রুবেল, আমিন খান, অমিত হাসান, আলেক জান্ডার বো, মেহেদী সহ অনেকের সাথেই কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন প্রায় ১১৫টি ছবিতে। বাংলাদেশের প্রশাসন যখন চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কঠোর হতে শুরু করে, তখন পলির অভিনয়ের জনপ্রিয়তা হারিয়ে যেতে থাকে। এরপর মূলধারার চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যান তিনি।

পলি অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘এক নম্বর আসামি’ ২০১২ সালে মুক্তি পায়। রাজু চৌধুরী পরিচালিত এ সিনেমায় পলির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়ক রুবেল। এরপর তাকে আর দেখা যায় নি। সিনেমায় দেখা না গেলেও চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তার। এছাড়া চলচ্চিত্র থেকে অবসর নিয়ে সাধারণ বাঙালি মেয়ের মত সংসার শুরু করেন তিনি। সংসারের পাশাপাশি তিনি একটি বুটিক হাউস প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেটা নিয়েই তার এখন যত ব্যস্ততা। সেইসাথে স্বামী, সংসার ও সন্তান এই তিন ‘স’-তেই নিজেকে এখন আটকে রেখেছেন তিনি।

নায়িকা অলিভিয়া:

সত্তরের দশকে চলচ্চিত্রে আসা জনপ্রিয় নায়িকা অলিভিয়া দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে আছেন। ১৯৭২ সালে চিত্রনির্মাতা এস এম শফির ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে অলিভিয়ার। এরপর একাধারে অনেকগুলো ছবি করেন এবং সফলও হন। এরপর চিত্রনির্মাতা এস এম শফিকেই বিয়ে করেন তিনি। ৫৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই নায়িকাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৯৫ সালে ‘দুশমনি’ ছবিতে। তিনি নায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন। স্বামী চিত্রপরিচালক এস এম শফির মৃত্যুর পর সিনেমা ছেড়ে দেন অলিভিয়া। এরপর অলিভিয়া আবার বিয়ে করেন ফতুল্লার মুনলাইট টেক্সটাইল মিলের কর্ণধার হাসানকে। জানা যায়, তিনি বর্তমানে বসবাস করছেন বনানীর ডিওএইচএসে।

নায়িকা শিল্পী:

নব্বই দশকের আরেক দর্শকনন্দিত নায়িকা শিল্পী। পুরো নাম আঞ্জুমান আরা শিল্পী হলেও তাকে শিল্পী নামেই চিনতো সবাই। ১৯৯৫ সালের দিকে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। মোহাম্মদ হোসেন প্রযোজিত ও রানা নাসের পরিচালিত ‘প্রিয়জন’ চলচ্চিত্রে প্রয়াত অমর নায়ক সালমান শাহর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই ছবিটি তাকে দর্শক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। প্রায় ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই দর্শকনন্দিত নায়িকা। দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও ২০০০ সালে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন শিল্পী। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ চলচ্চিত্র দুটি হচ্ছে নায়করাজ রাজ্জাকের ‘প্রেমের নাম বেদনা’ এবং দেওয়ান নজরুলের ‘সুজন বন্ধু’। বর্তমানে অভিনয় ছেড়ে সংসার এবং দুই সন্তান ছেলে সানাদ ও মেয়ে অ্যাঞ্জেলিনাকে নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com