1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

কোন মুখে এই কথা বলেন যে যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না – মির্জা ফখরুল

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০.৩৪ পিএম
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

সিএনএমঃ
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণের সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোন মুখে এই কথা বলেন যে যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। আপনি যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, গণতন্ত্র চাওয়ায় সেই দেশের মানুষদের আপনি হত্যা করছেন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম (শাওন) নিহতের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন। ভাষণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ বা একতরফা জবরদস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরী পন্থা কখনো কোনো জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। এ বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তারা জাতিসংঘে গিয়ে বলে যে যুদ্ধ চাই না, তারা বলে নিষেধাজ্ঞা চাই না— কোন মুখে এই কথা বলেন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যে দেশে আপনি বাস করেন, যে দেশের আপনি প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেই দেশের মানুষদের আপনি হত্যা করছেন। তাদের একটিমাত্র অপরাধ তারা গণতন্ত্র চায়, তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়, ভোটাধিকার পেতে চায়, বেঁচে থাকতে চায়, মানুষের মতো জীবনযাপন করতে চায়।’

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা আজকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছেন, পুলিশকে ব্যবহার করছেন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছেন, প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন, মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম দাবি করেন, ‘শুধু শাওন নয়, আন্দোলন শুরুর পরে আমাদের চার সন্তানের রক্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা। আজকে রক্ত ঝরিয়ে, হত্যা করে, ভয় দেখিয়ে, গুম করে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু মানুষের যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, এক শাওন, আবদুর রহিম, নুরে আলমের মৃত্যুতে সে অভ্যুত্থানকে দমন করা সম্ভব হবে না।’

সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বন্দুকের গুলিতেই শহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সমাবেশে নিহত এই যুবদল কর্মীর বাবা ছোয়াব আলী বক্তব্য দেন। তাঁর কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে। তুমি বল যে পেছন থেকে ইটের আঘাতে সে (শাওন) মারা গেছে, তুমি বল যে তাঁকে বিএনপির লোকেরাই মেরেছে। কিন্তু আমাদের কাছে পরিষ্কার ডকুমেন্ট আছে। তার ডেথ সার্টিফিকেটে ডাক্তারেরা পরিষ্কার করে বলেছেন, মৃত্যুর কারণ গুরুতর আঘাত, বন্দুকের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কাজেই মিথ্যাচার করবেন না। আজকে মিথ্যাচার করে, প্রতারণা করে জনগণকে বোকা বানিয়ে রেখেছেন। মানুষ আর তা সহ্য করতে রাজি নয়।’

বক্তব্যে ছোয়াব আলী বলেন, ‘কোন দেশে বাস করি, মৃত মানুষের নামে মামলা হয়। আমার ছেলেকে তারা গুলি কইরা মারছে, আবার মামলা দিছে।’ তিনি বলেন, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর যে কী বোঝা, তা যে কাঁধে নেয়, সে বোঝে। এ সময় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দলের নেতা-কর্মীসহ সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মাহমুদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com