পুরোপুরি সুস্থ না হলেও করোনার ঝুঁকি থাকায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ২৪ জুন বাসায় ফেরার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। অবস্থা আগের মতো স্থিতিশীল।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অবস্থাও এখন পর্যন্ত ভালো বলে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। নতুন করে তার স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি ঘটেনি। বরং ধীরে-ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা নিয়মিত গুলশানের বাসভবনে গিয়ে খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার সঙ্গে ডা. জাহিদ হোসেনের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বাসায় আসার পর থেকে ম্যাডামের নতুন করে কোনো জটিলতা তৈরি হয়েনি। তিনি আগের মতোই আছেন।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ২৪ জুন বাসায় আসার পর খালেদা জিয়াকে দেখতে তার বাসভবনে গেছেন বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী। চিকিৎসকদের মধ্যে নিয়মিত তাকে দেখতে যান ডা. জাহিদ হোসেন। এছাড়া ডা. আল মামুন, ডা. এফ এম সিদ্দিকীসহ আর দুই জন চিকিৎসক তাকে দেখতে যান।
এদিকে, গতকাল (২৫ জুন) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার শুকনা কাশি ছাড়া এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো উপসর্গ নেই। মোটামুটি তিনি সুস্থ আছেন।
শায়রুল কবির খান জানান, মহাসচিব মোটামুটি ভালো আছেন। উনার এখন পর্যন্ত কাশি ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ নেই।