চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেমেছে এক হাজারের নিচে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে তাইওয়ান। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি ও জার্মানি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫০ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ১৯ হাজার।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২ হাজার ৩১৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৪ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ১১০ জন এবং মারা গেছেন ১ জন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭১ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৮ হাজার ১৫১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮১৫ জনের।

জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ১৪ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৪ জন মারা গেছেন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ১০১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৫ জনের।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ১৭২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৬ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৬ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৪ হাজার ২৩৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন।

ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫২৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯২২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫২ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৯০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ২০৮ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৬৫১ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ২৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন। একই সময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪০৯ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৯০ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।