বাগেরহাটে অবৈধভাবে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা এবং ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২৯ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এসব জরিমানা ও সিলগালা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মোংলায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার পরিচালনার অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার।
ফকিরহাটে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।
মোল্লাহাটে শিকদার বাদশা মিয়া ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারকে বন্ধের নির্দেশ, ২টি ক্লিনিককে ৯ হাজার টাকা জরিমানা এবং গাংনী এলাকার মাল্টি কেয়ার সার্জিকাল এ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কচুয়ায় দুটি ক্লিনিক সিলগালা ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। শরণখোলায় ২টি ক্লিনিককে সিলগালা, পদ্মা ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার, মদিনা ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ৪০ হাজার, হাসি ডেন্টালকে ৩০ হাজার, মুক্তা ডেন্টালকে ৩০ হাজার এবং আল আমিন ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় মইনুল ইসলাম নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মোরেলগঞ্জে ৩টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। চিতলমারীতে অবৈধভাবে চিকিৎসাসেবা পরিচালনায় ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পেমা প্যাথলজি সেন্টারকে সিলগালা ও বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় ১২টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন।
রামপাল উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন।
সদর উপজেলায়ও বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে সতর্ক করেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রাকিব হাসান চৌধুরী।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাফিজ আল আসাদ বলেন, জেলা সদর ও প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং আইন অমান্য করায় জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।