ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরে সুড়ঙ্গ ধসের ঘটনায় আরও ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। নিহতদের সবাই শ্রমিক।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) উপত্যকাটির একটি পার্বত্য মহাসড়কে সুড়ঙ্গ নির্মাণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
অন্যদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গ ধসের ঘটনার দু’দিন পর ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গ থেকে মোট ১০ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চলার পর ওই ১০ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ৫ জন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা। এর আগে গত শুক্রবার একজন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মিরের রামবান জেলায় একটি নির্মানাধীন সুড়ঙ্গে আচমকা ধস নামে। ধসের পর তিনজন শ্রমিক সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও, ভেতরে আটকে পড়েন ১০ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছিল। শনিবার জানানো হয়, উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। ভেতরে আটকে থাকা ১০ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের খুনি নালা এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নামে। উদ্ধারকাজ চলাকালীনই শুক্রবার পাশের মাকেরকোটে এলাকায় পাহাড়ের একটি অংশ ধসে যায়। এর ফলে জম্মু-কাশ্মির জাতীয় সড়কের একাংশ বন্ধ হয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, সুড়ঙ্গ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধি অনুসরণ না করাতেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ইতোমধ্যেই পুলিশ সুড়ঙ্গ নির্মাণের ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
যে ১০ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকে পড়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৫ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাদের নাম- যাদব রায় (২৩), গৌতম রায় (২২), সুধীর রায় (৩১), দীপক রায় (৩৩) এবং পরিমল রায় (৩৮)।
এছাড়াও আসামের শিবা চৌহান (২৬), নেপালের নওয়াজ চৌধুরী (২৬), কুশী রামের (২৫) মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দা মুজাফফর (৩৮) ও ইসরাতেরও (৩০) মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে।
রামবান পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মসরাত-উল ইসলাম জানান, সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।