নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অর্ডার্ন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তার দপ্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেহে করোনার উপসর্গ বোধ করায় শুক্রবার রাতে একদফা করোনা পরীক্ষা করান অর্ডার্ন। তাতে তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। তারপর শনিবার সকালে ফের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করান তিনি, সেখানেও ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে।
গত ৮ মে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন জেসিন্ডা অর্ডার্নের প্রেমিক ও সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড। তার পর থেকেই আইসোলেশনে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী; কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হলো না। এক সপ্তাহের মধ্যেই আক্রান্ত হলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, আগামী ২১ মে সকাল পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবেন জেসিন্ডা অর্ডার্ন। এ কারণে পার্লামেন্টে সোমবার ও বৃহস্পতিবারের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তিনি।
আগামী সোমবার কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী যতদিন অনুপস্থিত থাকবেন. নিউজিল্যান্ডের উপ প্রধানমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসন সেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
পৃথক এক বিবৃতিতে নিজের অসুস্থতা সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে জেসিন্ডা অর্ডার্ন বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন শুরু হবে এবং আমি হতাশ যে দু’টির কোনোটিতেই আমি থাকতে পারব না।’
‘কার্বন নিঃসরণ বন্ধে আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছি, সেটি আমাদের গৃহীত লক্ষ্য কার্বন জিরো গোলের দিকে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে এবারের বাজেটে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি।’
‘কিন্তু চলতি সপ্তাহে আমি যেমনটা বলেছিলাম—চলতি বছর করোনা পজিটিভ হয়ে আইসোলেশন বেশ বিরল অভিজ্ঞতা, কিন্তু তারপরও পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনা করে আমাকে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।’
সূত্র: রয়টার্স