হঠাৎ করেই ইউক্রেনে গেলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি
জিল বাইডেন। রোমানিয়া এবং স্লোভেনিয়া সফরের এক পর্যায়ে আচমকা
ইউক্রেন সফরে যান তিনি। সেখানে পৌঁছেও সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্রদের যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। রোববার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এসোসিয়েট প্রেস (এপি)। সিএনএন এই সফরের কিছু ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করে।
ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী শহর উজহোরোদের একটি স্কুলে দেশটির ফার্স্ট লেডি
ওলেনা জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জিল বাইডেন। স্কুলটি বর্তমানে যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয়দের আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জিল বাইডেন জানান, আমি আসলে ‘মা দিবসে’ এখানে আসতে চেয়েছি এবং এসেছি। তিনি বলেন, আমরা দেখাতে চাই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ইউক্রেনের জনগণের পাশে রয়েছে। এখন যুদ্ধের তৃতীয় মাস চলছে, এটি ‘নিষ্ঠুর’ এবং এটা থামাতে হবে।
এদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে জিল বাইডেনের এই সফরকে ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কি ‘সাহসী কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি কি জন্য যুদ্ধ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি এখানে এসেছেন। যেখানে প্রতিদিন সামরিক কর্মকাণ্ড চলছে। যেখানে প্রতিদিন এয়ার সাইরেন বাজছে, এমনকি আজকেও বেজেছে। সেখানে তিনি কেনো এসেছেন তা আমরা বুঝতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মা দিবসে এই সফর দারুণ প্রতীকী। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে আপনার ভালোবাসা এবং সমর্থন আমরা অনুভব করছি।
একই দিনে, কোনো ঘোষণা ছাড়াই ইউক্রেন সফর করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে শহরটির মেয়র ওলেক্সান্ডার মার্কুশিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তীব্র যুদ্ধের পর গত মার্চের শেষ দিকে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে এই ইরপিন শহরটি পুনরুদ্ধার করে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে শহরটির মেয়র ওলেক্সান্ডার মার্কুশিন বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে এইমাত্র দেখা করার সম্মান অর্জন করেছি। রুশ দখলদাররা আমাদের শহরে যে ভয়াবহতা তৈরি করেছে তা নিজের চোখে দেখতে তিনি ইরপিন এসেছেন।’
মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ইউক্রেনে দুইঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেন। এ সময় তিনি স্লোভাকিয়ান সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চলে গাড়িতে কিছুক্ষণ যাতায়াতও করেন। এদিকে ইউক্রেনে মার্কিন ফার্স্ট লেডি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সফরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছে পশ্চিমা গণমাধ্যম।