চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে পাঁচ লাখের নিচে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল ও রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৫৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ লাখ ৭১ হাজার।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৮১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫৯ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ৯২ হাজার ৮১৮ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ২০১ জন এবং মারা গেছেন ১৫৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৪ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪০৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২১ লাখ ২ হাজার ৯৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৪ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ২২৫ জন এবং মারা গেছেন ১২২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছেন।

ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ২৫৫ জন এবং মারা গেছেন ১৩৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮২ হাজার ৬২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৭৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭২০ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ১১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ ১১ হাজার ১৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬০ জনের। গত একদিনে অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৫ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত একদিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ২৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ হাজার ১৫৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৯০ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৬৮২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ২৪ হাজার ১৮৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফিনল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৭৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২১১ জন। একই সময়ে কানাডায় নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৩১ জন এবং মারা গেছেন ১৮৮ জন। গ্রিসে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৯১ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ২৯ জন, ইরানে ৭ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ জন, নিউজিল্যান্ডে ২১ জন, চিলিতে ১৭ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।