আগের ওই মেয়াদে দেশটিতে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি নারীদের বাড়ির বাইরে বের হওয়া, শিক্ষার সুযোগ এবং চাকরির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এই গোষ্ঠী। নমনীয়তার প্রতিশ্রুতি এবার ক্ষমতা দখলের পরও তালেবান ক্রমবর্ধমানভাবে আফগানদের অধিকার সীমিত করেছে, বিশেষ করে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ এবং নারীদের সরকারি চাকরিতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
পরিবারের জন্য ঈদুল ফিতরের উপহার কিনতে গাড়ি চালিয়ে স্থানীয় বাজারে যাওয়া শাইমা ওয়াফা নামের এক নারী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তালেবানের একজন সদস্যকে (নিরাপত্তারক্ষী) বলেছিলাম যে, ট্যাক্সি ড্রাইভারের পাশে বসার চেয়ে আমার গাড়িতে ভ্রমণ করা বেশি স্বস্তিদায়ক।
তিনি বলেন, ‘ভাই বা স্বামীর আসার জন্য অপেক্ষা না করে আমার পরিবারকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে সক্ষম হওয়া দরকার।’
হেরাতের প্রাদেশিক তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান নাইম আল-হক হক্কানি বলেছেন, কোনও সরকারি আদেশ জারি করা হয়নি। তালেবান মূলত জাতীয়ভাবে লিখিত আদেশ জারি করা থেকে বিরত থাকে। তবে বিভিন্ন বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কখনও কখনও মৌখিকভাবে আদেশ জারির নির্দেশ দেয়।
কয়েক বছর ধরে গাড়ি চালিয়ে আসা ফেরেশতেহ ইয়াকুবি নামের একজন নারী বলেন, কোনও গাড়িতে এটা লেখা নেই যে, এই গাড়ি শুধুমাত্র পুরুষের। আসলে একজন নারী যদি গাড়ি চালান, তাহলে সেটি তার জন্যও নিরাপদ।
সম্প্রতি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন ২৬ বছর বয়সী তরুণী জয়নব মোহসেনি। তিনি বলেন, পুরুষ চালকদের ট্যাক্সির তুলনায় মেয়েরা নিজেদের গাড়িতে বেশি নিরাপদ বোধ করেন। তালেবানরা ধীরে ধীরে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ বাড়াতে চায়।
সূত্র: এএফপি।