চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৫০ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান ওয়ালটনের এক সাবেক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ওয়ালটনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের পরে পাবনা সদর থানার রাধানগর যোগীপাড়া মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইসঙ্গে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ২টি কলসি এবং ঘরের ভেতরে ১টি মুড়ির টিন থেকে ৩২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১ মে) টাকা উদ্ধার ও পালিয়ে যাওয়া কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের স্ত্রী নুরজাহানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।
জানা গেছে, টাকা আত্মসাৎকারী কর্মকর্তার নাম ফারুক হোসেন। তিনি ওয়ালটনের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, গত ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ইলেকট্রিক মার্কেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসামি মো. ফারুক হোসেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্টিজ পিএলসি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য বিক্রির ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৫০ টাকা গ্রহণ করেন৷ পরে তা ওয়ালটন ও দোকানদারদের ফেরত না দিয়া আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্টিজ পিএলসি প্রতিষ্ঠানের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ নবী আলম আসামির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন গত ২২ এপ্রিল।
তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পরে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মেহেদী হাসান। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন আসামি ফারুকের স্ত্রী আত্মসাৎ করা টাকা নিয়া পাবনা সদর থানার রাধানগর যোগীপাড়া মাঠপাড়া এলাকায় বসবাস করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (৩০ এপ্রিল) যোগীপাড়া মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামির স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরে আত্মসাৎ করা টাকা তার বাসার মাটির নিচে লুকায়িত আছে বলিয়া স্বীকার করেন নুরজাহান। পরে তার দেখানো তথ্য মতে, মাটির নিচে লুকায়িত ২টি কলসি বের করা হয়ে। যেগুলোর কাপড় ও পলিথিন দিয়ে মুখ বন্ধ করে ভেতরে টাকা রাখা ছিল। এছাড়া ঘরের ভেতরে রাখা ১টি মুড়ির টিন থেকেও নগদ টাকা পাওয়া যায়। এ তিনটি স্থান থেকে ৩২ লাখ ৮৯ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পলাতক আসামির ১টি ল্যাপটপ ও ১টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নূরজাহান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন অবশিষ্ট টাকা নিয়ে ফারুক দুবাইয়ে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।