সিএনএম প্রতিনিধিঃ
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবী নেহার জামিনের নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার(৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী জামিন নামঞ্জুর করেন।
আসামি নেহার পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জি আর) শাখার পুলিশের এএসআই ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে নেহাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি নেহাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সে সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নেহাকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর বাবার করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।
এর আগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি নিহত ছাত্রীর বাবা মামলা করেন। ওইদিন চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো একজনকে আসামি করা হয়।
২৮ জানুয়ারি মদ্যপানের পর থেকে নেহা অসুস্থ ছিলেন। তবে গ্রেফতারের সময় তিনি মোটামুটি সুস্থ ও সবল ছিলেন। সেদিন তারা যে মদপান করেন সেগুলো নেহার ছেলে বন্ধু কিনে এনেছিল।
মামলার এজাহারে ওই তরুণীকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার কথা বলা হয়েছে। এতে সহযোগী হিসেবে চারজনের নাম উল্লেখসহ মোট পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন নিহত তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১), মামলায় তাকে ধর্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নুহাত আলম তাফসির (২১), আরাফাত (২৮) ও নেহা (২৫)।
আরেক বন্ধুর নাম জানা যায়নি। মামলায় তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলার আসামি আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে।