জিয়া পরিবারকে হয়রানির উদ্দেশ্য থেকেই ডা. জোবায়দা রহমানকে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় স্থায়ী কমিটির সভা।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে, জোবায়দা রহমানকে দুদকের এই মামলায় জড়ানো ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসামূলক’। যে আদেশ প্রদান করা হয়েছে তা ফরমায়েশি বলে প্রতীয়মান হয়।
গত ১৩ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর কর্তৃক প্রকাশিত ‘২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রমাণিত হয়েছে যে এই অনির্বাচিত, অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় অন্যায়ভাবে টিকে থাকতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদী এই সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন, সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যে সকল অভিযোগ উঠেছে তা এই রিপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সেই সত্যকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া ও কারাগারে প্রেরণকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে উল্লেখ করা প্রকৃত সত্যকে উদঘটিত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ এর নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, সন্ত্রাস ও আগের রাতে সিল মারা, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করে ভোট কেন্দ্রে আসতে না দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে জালিয়াতি পূর্ণ বলে অভিহিত করায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অনির্বাচিত অবৈধ আওয়ামী সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বচন সম্ভব নয়।