নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল ড্রেস পরে না আসায় শিক্ষার্থীদের মারপিটের অভিযোগ ওঠে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনি পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিজাব নিয়ে গুজব ছড়ানোর মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে নওগাঁ শহরের বইপট্টি ও কুশার সেন্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা মৃত কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কিউএম সাঈদ টিটু (৫৫) ও কুশার সেন্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজী ময়েন উদ্দিনের ছেলে কাজী সামছুজ্জোহা মিলন (৪৫)।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন বলেন, শনিবার (৯এপ্রিল) দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ, সভাপতি মাহমুদুল হাসান সুমন ও জেলার পোরশা উপজেলার গহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দিন আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, স্কুল ড্রেস (নির্ধারিত পোশাক) পরে না আসার কারণে দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষার্থীদের শাসন করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি হিজাব বিতর্ক নিয়ে গুজব রটানো হয়। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে হিজাবকাণ্ড মিথ্যা প্রতীয়মান হয়। যেখানে স্কুল ড্রেস না পরার বিষয়টি উঠে আসে। যা ছিল অপ্রত্যাশিত। সকলের উচিত কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল ড্রেস পরে না আসায় ১৮ শিক্ষার্থীকে মারপিট করার অভিযোগ উঠে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনি পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধে। কিন্তু পর দিন গুজব রটানো হয় ‘স্কুল ড্রেস নয়, হিজাব পরে স্কুলে আসায়’ মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল বিকেলে বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।