ইউক্রেনের পর রাশিয়ার সেনারা ফিনল্যান্ড সীমান্তের দিকে সামরিক সরঞ্জাম সরানো শুরু করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এটিকে আপাতদৃষ্টিতে পশ্চিমাদের জন্য রাশিয়ার আরেকটি সতর্কবার্তা হিসেবেও মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর।
অন্যদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানিয়েছে, রাশিয়া তার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ফিনল্যান্ড সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোকে ফিনল্যান্ড সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ডেইলি মেইল বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ফিনল্যান্ডকে হুঁশিয়ার করে দেওয়ার পর দেশটির সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর করার কাজ শুরু করেছে রাশিয়া।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশ দু’টির মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর দাবি, অচিরেই ওই দুই দেশকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অন্যদিকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ন্যাটো জোটের বিস্তারের মাধ্যমে ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।
ন্যাটোকে সংঘাতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার একটি হাতিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করে পেসকভ বলেন, এ জোটের সদস্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ইউরোপ মহাদেশে স্থিতিশীলতা আনা যাবে না।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পেছনে ন্যাটোতে যোগ দিতে চাওয়ার বিষয়ে কিয়েভের আকাঙ্ক্ষা বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়।