সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

জিয়া চ্যারিটেবল: ২ মাসের মধ্যে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ

  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২, ১১.৪৫ পিএম
  • ১৯১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত কারাবন্দি আসামি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহকারী একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দণ্ডিত এই আসামিকে দুই মাসের এ মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

সোমবার (৪ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৫’র বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেনখোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

পরে পলাতক হারিছ চৌধুরী ছাড়া বাকী আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে মনিরুল ইসলাম খান জেল কারাগারে রয়েছেন।

খুরশীদ আলম খান জানান, এর মধ্যে খালেদা জিয়া এবং জিয়াউল ইসলাম মুন্না এ মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মোতাবেক নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করার পর মুক্তি পান। কিন্তু মনিরুল ইসলাম খান এখনো কারাবন্দি আছেন। তিনি জামিন চেয়েছেন। আদালত জামিন না দিয়ে দুই মাসের মধ্যে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পেপারবুক প্রস্তুত হলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলও একসঙ্গে শুনানির জন্য আবেদন করবো।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com