ভারতের রাজনীতিতে একদিকে যেমন ভালো দিন যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপির, অন্যদিকে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস।
সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অপমানজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে রাজ্যসভাতেও তাদের পরিধি সঙ্কুচিত হচ্ছে। দলের জন্য দুঃসংবাদ হলো, আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের পর সংসদের উচ্চকক্ষে তাদের সংখ্যা আরও কমে যাবে।
কংগ্রেসের ভৌগলিক গ্রাফও দ্রুত সঙ্কুচিত হচ্ছে। এখন রাজ্যসভায় ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে কংগ্রেসের কোনো প্রতিনিধি থাকবেন না। গত মাসেই রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ছিল ৩৩ জন। এ কে অ্যান্টনিসহ চার সদস্য অবসর নিয়েছেন। জুন ও জুলাই মাসে আরও ৯ জন সদস্যের মেয়াদ শেষ হবে। এছাড়াও রয়েছেন পি চিদাম্বরম, অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশ ও কপিল সিব্বল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের পর রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা হবে সর্বাধিক ৩০ জন। উচ্চকক্ষে কংগ্রেসের এত কম সাংসদ ছিল, এমন ঘটনা এখনও পর্যন্ত কখনও ঘটেনি। তবে, কংগ্রেস আশাবাদী যে তামিলনাড়ুতে ছয়টি আসনের মধ্যে ডিএমকে একটি আসন তাদের দেবে। এরপর এর সদস্য সংখ্যা বেড়ে হবে ৩১। তবে উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা, দিল্লি ও গোয়ার কোনো সাংসদ থাকবেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৭টি রাজ্যে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে কংগ্রেস। নির্বাচনের পর অনেক বড় রাজ্য থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ থাকবেন না। এর মধ্যে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, গোয়া, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম, আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরা।
পাঞ্জাবে ক্ষমতা হারানোর ফলে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে কংগ্রেসও। একইভাবে হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ত্রিপুরা থেকেও লোকসভায় কংগ্রেসের কোনো প্রতিনিধি নেই।