নেপালকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার যে দাবি তোলা হয়েছে তার পক্ষে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ একজন মন্ত্রী।
মন্ত্রী প্রেম আলে বৃহস্পতিবার বলেন, যদি বেশিরভাগ মানুষ এর পক্ষে থাকে, তাহলে গণভোটের মাধ্যমে তা করা যেতে পারে।
পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রেম আলে কাঠমান্ডুতে বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের দুই দিনের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, নেপালকে একটি হিন্দু জাতি হিসেবে ঘোষণা করার দাবি বিবেচনা করা যেতে পারে এবং যদি এ ধরনের দাবি উত্থাপিত হয় তা বাস্তবায়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবেন তিনি।
মন্ত্রী প্রেম আলে যে দাবির বিষয়ে কথা বলছিলেন তা মূলত তোলা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। কাঠমান্ডুতে বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের দুই দিনের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ ১২টি দেশের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
প্রেম আলে বলেন, যেহেতু পাঁচদলীয় জোটের বর্তমান সরকারের সংসদে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই নেপালকে হিন্দু জাতি হিসেবে ঘোষণা করার দাবিকে গণভোটের মধ্যে রাখা যেতে পারে। আমাদের সংবিধানে দেশটিকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু জনসংখ্যার অধিকাংশই যদি হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে থাকে, তাহলে কেন নেপালকে গণভোটের মাধ্যমে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হবে না?
২০০৬ সালের গণআন্দোলনে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার পর ২০০৮ সালে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নেপালে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠী রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি অজয় সিং দাবি করেন, নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হোক, কারণ দেশটির জনসংখ্যার সিংহভাগই হিন্দু।
তিনি বলেন, যদি কোনো দেশকে ইসলামী দেশ হিসেবে ঘোষণা করা যায়, অন্য দেশগুলোকে খ্রিষ্টান দেশ হিসেবে ঘোষণা করা যায় এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও বজায় রাখা যায়, তাহলে নেপালকে কেন হিন্দু গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা যাবে না?
সূত্র : জি নিউজ।