ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে আগেই স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। মূলত এই স্বীকৃতির পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। তবে মস্কোর কাছ থেকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেলেও সেটি পাশ কাটিয়ে রাশিয়ায় যোগদানের কথা বিবেচনা করতে পারে দোনেতস্ক রিপাবলিক।
দোনেতস্ক অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী রুশপন্থি নেতা একথা জানিয়েছেন বলে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। দোনেতস্ক অঞ্চলের কিছু অংশ বর্তমানে ইউক্রেনের এবং বাকি অংশ রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিনকে উদ্ধৃত করে সেখানকার একটি আউটলেট জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বে অবস্থিত এই অঞ্চলটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর রাশিয়ায় যোগদানের কথা বিবেচনা করতে পারে দোনেতস্ক পিপলস রিপাবলিক।
মঙ্গলবার দোনেতস্ক বার্তাসংস্থাকে অঞ্চলটির বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়ান ফেডারেশনে যোগদানের জন্য স্পষ্ট ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তবে এখন আমাদের মূল কাজ হচ্ছে (দোনেতস্ক পিপলস রিপাবলিকের) প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক সীমানায় পৌঁছানো। এরপর আমরা এই (রাশিয়ান ফেডারেশনে যোগ দেওয়া বা না দেওয়ার) বিষয়টি নির্ধারণ করব।’
রয়টার্স বলছে, দিন দু’য়েক আগে মস্কে-সমর্থিত পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অন্য অঞ্চল লুহানস্কের নেতা রাশিয়ায় যোগদানের বিষয়ে গণভোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। এর দুই দিনের মাথায় এই মন্তব্য করলেন পার্শ্ববর্তী দোনেতস্ক অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা।
কিয়েভ বলছে, এই জাতীয় ভোটের কোনো আইনি ভিত্তি থাকবে না এবং এটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের আদেশ দেওয়ার তিন দিন আগে লুহানস্ক ও দোনেতস্কের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যদিও বিশ্বের আর কোনো দেশই পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করেনি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দুই অঞ্চলকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করে থাকে।