র্যাব মানবিকতা দিয়ে অপরাধ দমনের মতো কাজ করে নজিরবিহীন সাফল্য দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে র্যাব ফোর্সেসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
র্যাবের বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দেশের একমাত্র এলিট ফোর্স র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন ইতোমধ্যে জননিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। র্যাব চরমপন্থিদের আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের রক্তাক্ত জনপদে মানুষ পেয়েছে নিরাপদ জীবন। ফলে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জঙ্গি দমনের মাধ্যমে দেশের আপামর জনগণের নিরাপত্তা সমুন্নত হয়েছে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, জলদস্যু দমনের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এসেছে। হত্যা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ভিকটিম ও পরিবারের বিচার পাওয়ার পথ সুগম করেছে র্যাব।
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল— জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিগত ও বর্তমান সময়ে শীর্ষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে এলিট ফোর্স র্যাব। সম্প্রতি জঙ্গি দমনে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি ও কৌশলের আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি দমনে যে সফল তৎপরতা চালিয়েছে তাতে র্যাবের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানসহ শোলাকিয়া, সিলেটের আতিয়া মহল, ঢাকার আশুলিয়া, মিরপুর, তেজগাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল ও ঝিনাইদহসহ প্রতিটি জঙ্গি দমন অপারেশনে র্যাব তার পেশাদারত্ব ও দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে।
মাদকের ভয়াল ছোবলের কবলে গ্রাস হচ্ছে অনেক মানুষের জীবন ও সংসার— উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের বিস্তার রোধে র্যাব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ এ সামাজিক যুদ্ধ এবং অভিযাত্রা আমাদের সফল করতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযানের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা মাদকবিরোধী অভিযান সুসংহত করার লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলায় একটি পরিপূর্ণ ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করেছি। একই সঙ্গে আমরা একটি যুগোপযোগী ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়ন করেছি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, একটা সময় এমন ছিল যে বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শন সুন্দরবন ছিল বনদস্যু ও জলদস্যুদের অভয়ারণ্য। সুন্দরবনের বাওয়ালি মৌয়ালসহ প্রায় ২৫ লাখ মানুষের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিল এ বনদস্যুরা। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধান এবং র্যাবের কর্মতৎপরতায় সুন্দরবনকে আমরা দস্যুমুক্ত করেছি।