শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচন নিয়ে তারেক রহমানের প্রস্তাবে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা ব্যবসায়ীকে হত্যা: আসামিদের ধরার দাবিতে সড়ক অবরোধ ময়মনসিংহে বাস উল্টে হেলপার নিহত, আহত ১৯ মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্ত ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ চোরাই মোটরসাইকেলসহ মেকানিক গ্রেপ্তার ঈদের জামাতে আ’লীগ নেতাকে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গোলাগুলি/ ভাংচুর-লুটপাট সহ আহত একাধিক এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে দ্বিগুণ বাড়বে খরচ : মির্জা ফখরুল পুলিশের কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্দোষরা শাস্তি পাবেন না থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

এককালীন চিকিৎসা সহায়তা-টেলিমেডিসিন সেবা চায় পুলিশ

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২, ৯.১৭ পিএম
  • ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

দায়িত্ব-কর্তব্য পালনকালে পুলিশের সদস্যরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে তাদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরতদের হরহামেশায় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকল্পে ২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালুর দাবি তুলেছেন মাঠ পুলিশের কর্মকর্তারা।

এ বছর পুলিশ সপ্তাহে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজারবাগে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুলিশ প্রধানের দরবারে এ দাবি ছাড়াও স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশ কিছু দাবি উত্থাপিত হয়।

নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন

প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে অফিসার ও ফোর্সের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ এবং বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পুলিশের নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের দাবি উত্থাপন করেছেন এসএমপির কর্মকর্তারা। এছাড়াও সিলেট পুলিশ সুপার বান্দরবান, ১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কমান্ড্যান্ট (আরআরএফ), রংপুর, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও নাটোর পুলিশ সুপারও দরবারে একই দাবি উত্থাপন করেছেন।

dhakapost

সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি হাসপাতালে বেশ কয়েকজন ডাক্তারের পদ শূন্য। তাই জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগ করাসহ একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক্স ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার দাবি উত্থাপন করা হয় সারদার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে। বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করছিল ডিআইজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ডিসিপ্লিন বিভাগ এবং হিউম্যান রিসোর্স বিভাগ।

পুলিশ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা

কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার ও ডিএমপির একজন ডিসি বিভাগীয় শহরগুলোতে অত্যাধুনিক পুলিশ হাসপাতাল ও পুলিশের জন্য একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি উত্থাপন করেন। পাশাপাশি কোনো পুলিশ সদস্য গুরুতর অসুস্থ বা আহত হলে জরুরিভাবে তার সুচিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা যায় কি না সে দাবি উত্থাপন করেন পাবনার পুলিশ সুপার।

dhakapost

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, মেডিকেল সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বাবা-মাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তেমনি স্ত্রীর বা স্বামীর বাবা-মাকেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। প্রত্যেক পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে প্রতিবছর অন্তত একবার সরকারিভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠে আসে।

কল্যাণ তহবিল থেকে এককালীন চিকিৎসা সাহায্য

বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত সদস্যরা ক্যান্সার, কিডনি সমস্যা ও হার্টের সমস্যার মতো বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে পুলিশ কল্যাণ তহবিলে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সামান্য পরিমাণ অর্থ এককালীন সাহায্য হিসেবে দেওয়া হয়। অবশিষ্ট অর্থ ধার-দেনা করে সংগ্রহ করতে হয়। এতে পরিবারকে বড় ধরনের ঋণে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে বড় কোনো রোগে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সম্পূর্ণ চিকিৎসাব্যয় পুলিশ কল্যাণ তহবিল থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে দাবি উত্থাপন করেন বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তা।

এক অনুষ্ঠানে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে টেলিমেডিসিন সেবা চালুর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, করোনাকালে বিশেষ পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছিলাম। এটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে আমরা অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি বাস্তবসম্মত চিকিৎসাকে। এক সময়কার ২৫০ শয্যার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল এখন সাড়ে ১১শ  শয্যার  হয়েছে। আধুনিক সরঞ্জামাদি সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বছরই হার্টের রোগে ভোগা পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হার্টে রিং পরানো যাবে। পাশাপাশি আগামী দুই বছরের মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় একটি পুলিশ হাসপাতাল তৈরি করা হবে।

dhakapost

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব ও কাজের পরিবেশের কারণে বিশেষ ধরনের রোগ হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। শ্বাসকষ্ট, কিডনি, ক্যানসার ও হার্টের সমস্যা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ডায়ালাইসিস ইউনিট যুক্ত করেছি। যেখানে কিডনি রোগে আক্রান্ত ১০০ থেকে ১৫০ পুলিশ সদস্য ডায়ালাইসিস সুবিধা পাচ্ছেন। আমরা ক্যাথ ল্যাব (কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন) সংযুক্ত করছি। এর ফলে আর বাইরে যেতে হবে না হার্টের রোগীদের। ইন হাউজ রিং পরানো যাবে।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, এ মুহূর্তে আমরা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ক্যানসার ল্যাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে আশা করছি ক্যানসারের ইউনিট যুক্ত হবে। তখন ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপি দিতে বাইরে যেতে হবে না। লাখ লাখ টাকা খরচাও করতে হবে না।

ঢাকায় হচ্ছে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল

আইজিপি বলেন, অন্যান্য বিভাগে ছোট বড় পুলিশ হাসপাতাল থাকলেও ঢাকায় নেই। সেজন্য ঢাকায় বিভাগীয় একটি পুলিশ হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকাতেই বিভাগীয় হাসপাতাল হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার সম্মতি দিয়েছে। এটি হয়ে গেলে ঢাকায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চাপ কমবে।

সদস্যদের পুরো চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে চায় পুলিশ

এককালীন চিকিৎসা সহায়তা বাড়ানোর দাবি উত্থাপিত হয়েছে। সেটি বাড়ানোর উদ্যোগ রয়েছে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, চিকিৎসা সহায়তা তো চিকিৎসার জন্যই। আমরা সেটিই নিশ্চিত করতে চাই। পাঁচ লাখ, ১০ বা ১৫ লাখ টাকা না দিয়ে পুরোপুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাই যেন পুলিশ হাসপাতালে করা যায়, সে চেষ্টাই আমরা করছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com