1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

যাত্রাবাড়িতে “ডাকবক্স” যখন দোকানের ক্যাশবাক্স

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১, ১২.৪২ পিএম
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
যাত্রাবাড়িতে “ডাকবক্স” যখন দোকানের ক্যাশবাক্স

আলমগীর সেলিমঃ

তথ্য প্রযুক্তির দাপটে কদর কমতে শুরু করেছে “ডাকবক্স”-এর আর জিপিও-র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বায়িত্ব অবহেলার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী “ডাকবক্স”বিলুপ্তির পথে প্রায়..

বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তিগত ব্যবহারের কারনে সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ডাকবক্স গুলো। একসময় বাংলাদেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে চিঠি বা অন্য কিছু আদান প্রদানের জন্য ব্যবহৃত করা হত পোষ্ট অফিস বা ডাক সেবা। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে ডাক বক্স গুলো এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।
বাংলাদেশে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য প্রতিদিন খামে পুড়ে ডাক বক্সে চিঠি রাখতেন সর্ব সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে ডাকবক্স গুলো খুলে ডাকপিয়নরা বিভিন্ন ঠিকানায় পাঠাতেন সেই চিঠি গুলো তাদের হাতে।বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে হাতের লেখা চিঠির কদর নেই বল্লেই চলে এখন। সে জন্য এখন আর ডাক বক্সগুলো খুব একটা ব্যবহার হয়না। ডাক বক্সগুলো ব্যবহার না হওয়ার কারনে বেশির ভাগ ডাকবক্স গুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হওয়ার পথে প্রায়, এমন কি অনেক যায়গায় ভেঙ্গে পড়ে আছে এ ডাকবক্স গুলো। আগের মতো ডাকপিয়নদের নেই কোন দৌড়,যে সময় অনুযায়ী চিঠি পৌঁছে দিতে হবে মানুষের মাঝে।
একসময় এই ডাকবক্সে গুলোতে প্রচুর পরিমান চিঠি পরলেও বর্তমানে সময়ে বক্সে চিঠি পড়েনা বলে ধারনা করা হচ্ছে। এক সময় মানুষের কাছে যোগাযোগের জন্য যেটি ভরসা ছিলো সেটি এখন বিলুপ্ত প্রায়।এক সময় চিটিপত্র এবং মানি অর্ডারি ছিল পোস্ট অফিসের প্রধান কাজ। সময়ের পরিবর্তনে ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখন যুক্ত হয়েছে ব্যক্তি সঞ্চয়, বীমা,ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার সহ নানা মুখি বিভিন্ন সেবা।

তথ্য প্রযুক্তির দাপটে প্রতিক্ষণে প্রতিমুহুর্তে হারিয়ে যাচ্ছে সেই পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ডাকঘরের “ডাকবক্স”।
ফেলে আসা দিন গুলোতে বার্তা প্রেরক ও মনের ভাব আদান প্রদান ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের বিষয়টি অতিব গুরুত্বের সাথে উচ্চারিত হয়েছিল। আশির দশক পর্যন্ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি এবং জরুরী বার্তার জন্য টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন। একমাত্র জেলা শহর ব্যতিত গ্রামীন জনপদে টেলিফোনের ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত। পরিবার কিংবা প্রিয়জনের একটির জন্য অপেক্ষা হয়ে থাকতেন প্রবাসীরা। এখন আর সেই দিন নেই। নানা তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে দিন বদলের ন্যায় পাল্টে গেছে সবকিছু। এখন এক নিমিশেষে খবরা খবর পৌছে যাচ্ছে ঘরে বসে থেকে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে। প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে আলাপ চলছে অত্যাধুনিক মোবাইলে। চোখের পলকে খবর পৌছে যাচ্ছে কম্পিউটারাইজম সিস্টেম তথ্য প্রযুক্তির আরেক যাত্রা ই-মেইলে। ডিজিটাল যুগের একদাপ পরিবর্তনের ফলে অচল হয়ে গেছে ডাকে চিঠি প্রেরণ ও টেলিগ্রাফের যুগ। তাই ডাক বিভাগের ধরণ আর কাজের পরিধির মধ্যে এসেছে নানা পরিবর্তন। কালের বিবর্তনে হয়তো পরিবর্তন এসে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির আদল ধারণ করবে। তখন হয়তো ডাকঘরের আভিধানিক অর্থ এবং কাজের ধরণ ও পাল্টে যাবে। প্রযুক্তির গ্যাড়াকলে পড়ে নানা কারনে এই দিবস অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছে জেলাবাসীর কাছ থেকে।
১৮৬৩ সালে আমেরিকায় ডাক বিভাগের প্রবর্তন ঘটলেও ১৮৭৪ সাল থেকে এসে গঠিত হয় জেনারেল পোষ্টাল ইউনিয়ন। ইউনির্ভাসেল পোষ্টাল ইউনিয়ন গড়ে তোলার লক্ষে বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হলেও বাংলাদেশে ডাক বিভাগের চিত্র এখন আর পুর্বের মত নেই। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি কারনে এবং বিভিন্ন কুরিয়ার সাভির্সের দাপটে ডাক বিভাগের আগের ব্যস্ততা আর নেই। দেশ বিদেশ থেকে চিঠি পত্রের আদান প্রদান এবং টাকা প্রেরনের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম ছিল ডাক বিভাগ। সে সময়ে ডাক বিভাগের কদর ছিল অন্য রকম। এখন কালের আবর্তে অন্যতম তথ্য প্রযুক্তির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সেই পুরোনো ডাক যোগাযোগ। দূরত্ব আর এলাকার ধরণের উপর নির্ভর করত ডাক যোগে কোন জিনিস কয় দিনে পৌঁছবে। এখন সে অপেক্ষা আর করতে হয়না। অনায়াসে পৌঁছে যায় প্রিয়জন কিংবা শুভাখাংক্ষিদের কাছে খবরাখবর বা অন্যান্য জিনিস পত্র।
কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, ডাকঘরে অতীতে যে ভাবে ডাক বক্সে চিঠি পত্র আদান প্রদান করা হত, এখন সে তা তথ্য প্রযুক্তির প্রবাহে প্রতিক্ষণে প্রতি মুহুর্তে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ফলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল নারী পুরুষেরা সেই চিঠি পত্র আদান প্রদান করতে ডাক বিভাগে আসতে দেখা যায়না। যার ফলে ডাকঘরের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে কমতে দেখা যাচ্ছে ।
চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী ডাকঘরের “ডাক বক্স” দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের কালে ডিজিটাল যুগে অনায়াসে হারিয়ে যাচ্ছে সভ্য সমাজের কাছ থেকে।

যাত্রাবাড়িতে “ডাকবক্স” যখন দোকানের ক্যাশবাক্স
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তার উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে সাব-পোষ্ট অফিসের ‘ডাকবক্স’। দেখে বুঝার উপায় নেই যে এখানে চিঠিপত্র ফেলার জন্য রয়েছে ‘ডাকবক্স’। ‘ডাকবক্সে’র চারদিকে গড়ে উঠেছে দোকান আর দোকান ঘিরে রয়েছে এক শ্রেনির চাঁদাবাজ। প্রতিদিন সেখান থেকে চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায় করে থাকে। ফুতপাতে রাস্তার পার্শ্বে রয়েছে ফুলের দোকান -এর ভিতরে “ডাকবক্স”। দেখে বুঝার উপায় নেই এখানে একটি জনসাধারনকে সুবিধাদিতে চিঠিপত্র পাঠানোর জন্য রয়েছে সরকারী পোষ্ট অফিসের ডাকবক্স।
স্থানীয় চাঁদাবাজরা ফুতপাতটি দখল করে বেশ কিছু দোকান বসিয়েছে। ফুলের দোকানের মধ্যেই রয়েছে ডাকবক্স এবং বক্সটিকে দোকানের ক্যাশবাক্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফুলের দোকানদারের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান এই দোকানের মালিক বাচ্চু মোল্ল্যা,আমি প্রতিদিন ভাড়া দিয়ে বিগত ৩০ বছর যাবৎ ব্যবসা করিতেছি।
ডাকবক্সটি বেকার পড়ে আছে তাই আমার সুবিতার্থে ক্যাশবাক্স বানিয়েছি।
যাত্রাবাড়ি সাব পোষ্ট অফিসের সাব-পোষ্ট মাষ্টার এরশাদ মিয়া জানান, নির্দিস্ট স্থানে ডাকবক্স আছে কিন্তু রক্ষনাক্ষেন করার জন্য ঊর্ধ্ধতন কতৃপক্ষকে অনেকবার অভিযোগ করেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনও কোন প্রকার সমাধান করেননি। তবে দেশে ডিজিটাল পদ্ধতি থাকলেও চিঠিপত্রের ব্যবহার চাহিদাও রয়েছে অনেক।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com