এরা কারা সাধারণ ছাত্র পরিচয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
ভাংচুর, লুটপাট, ছিনতাই, ডাকাতী করছে
সিএনএম প্রতিবেদকঃ
বৈষম্যবিরুধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্ররা মাঠ পর্যায়ে ট্রাফিক ও বাজার নিয়ন্ত্রনসহ নানাবিধ আইনশৃঙ্খলা উন্নায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে ছাত্ররা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ সুযোগে কিছু দৃষ্কৃতিকারী যুবক ৫০/৬০জন দলবদ্ধভাবে জড়ো হয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আকর্ষীক হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট, ছিনতাই ও ডাকাতীর মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যদের নানাভাবে অবগত করেও রেহায় পাচ্ছে না। অসহায়ের মতো লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় দুর থেকে প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায়ান্ত ছিল না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ভাংচুর এবং লুটপাটই নয় অনেক যুবক মোবাইল নম্বরে মালিকদের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা চাদাও দাবি করেছেন, যে নম্বরগুলো হতে চাদা দাবি করেছেন—গত ৪দিনে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় কুতুবখালীতে হোটেল প্রাইম আবাসিক হোটেল, যাত্রাবাড়ী মোড় সংলগ্ন পুবাই এলাকার হোটেল মেঘনা, হোটেল গ্রিন গার্ডেন, হোটেল আয়শা মনি—তে লুটপাটসহ হোটেলে ব্যাপক ভাংচুর করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি সাধান করেছে। এছাড়া ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট—এর ৪র্থ তলায় নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলও ভাংচুর করে প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করেছেন। ম্যানেজার বিল্লালকে মারধরের ফলে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত ১৪/০৮/২০২৪ইং তারিখ হঠাৎ ৫০/৬০জন যুবক ছাত্রবেশে হোটেল দক্ষিণ—বাংলা ও হোটেল সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে আকর্ষীকভাবে হামলা করে দুই হোটেল ভাংচুর করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। হোটেলের কর্মচারীদের ব্যাপক মারধর করেছে এছাড়াও সুন্দরবন হোটেলে থাকা স্বামী—স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল কক্ষে থাকা স্ত্রী ছদ্মনাম আসমাকে হামলাকারীরা তুলে নিয়ে যান। সারারাত মেয়েটিকে ছাত্র পরিচয়দানকারী হামলাকারীরা কোথায় নিয়ে রাখছে এখনো পর্যন্ত ঐ মেয়েটির খোজ পাওয়া যায়নি বলে হোটেল ম্যানেজার মনির ক্রাইম মিডিয়াকে জানান। এবং তাদের দুই হোটেলে থাকা ম্যানেজাররা আরো বলেন—হোটেলগুলো হতে ভাংচুর ছাড়াও তাদের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুটপাট করেছেন।
এছাড়া রুমগুলোতে থাকা বার্ডারদের ব্যাপক মারধর করে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণ—অলংকার ব্যবহৃত মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। দক্ষিণ—বাংলা হোটেলের ম্যানেজার হানিফ বলেন—আমাদের ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে আমরা এলাকার স্থানীয় বৈষম্যবিরুধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলি তারা বলে যে, সাধারণ ছাত্ররা কখনই আপনাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট, ছিনতাই ও ডাকাতীর মতো ঘটনা ঘটাবে না। যারা এসকল অপকর্ম করেছে তারা সাধারণ ছাত্র না তারা ছাত্র বেশে তারা একধরনের অপরাধী। এরপর আমরা পোস্তগোলা সেনা—ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করেছি। ক্যাম্পে থাকা সেনা কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।