সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে ভিক্ষা করেছিলেন একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী। এসময় ভিসার শর্ত ভঙ্গের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি পুলিশ। এ ঘটনায় ও হজযাত্রীকে সৌদি পাঠানো ধানসিঁড়ি ট্রাভেলস এয়ার সার্ভিস নামে হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রোববার হজ সম্পর্কিত ওয়েব সাইটে এক নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই যাত্রীর নাম মো. মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ধানসিঁড়ির ট্রাভেলসের পাঠানো মো. মতিয়ার রহমান নামে ওই ব্যক্তি ২২ জুন বিকেল ৫টার দিকে মদিনা শরীফে ভিক্ষা করার সময় সৌদি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনা জানার পর বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মী থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই যাত্রী ‘সৌদি আরবে ব্যাগ ছিনতাই হয়েছে’ বলে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ভিক্ষা করছিলেন। এতে সৌদিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। পরে তদন্তে জানা যায়, ধানসিঁড়ির সেই হজযাত্রীকে গাইড করার মত সৌদিতে কোনো মোনাজ্জেম এবং হাজীর বসবাসের বাড়ি/হোটেলও ছিল না।
এ ধরনের কাজের জন্য হজ এজেন্সিটির বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যাসহ জানাতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে ২৬ জুন রাত ২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩৮ হাজার ৮৮৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৮৫ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৩৫ হাজার ৫০৪ জন। মোট ১০৮টি ফ্লাইটে সৌদি গেছেন হজযাত্রীরা। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৬১টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৫টি।
সবশেষ তথ্য মতে, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- ঢাকার বিউটি বেগম, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলির খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, নোয়াখালী জেলার নুরুল আমিন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির। এরমধ্যে মক্কায় ৪ ও মদিনায় ২ জন হজ যাত্রী মারা গেছেন।