সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ। তার স্ত্রী সাহিদা ইদ্রিস গৃহিণী হলেও স্বামীর অবৈধ সম্পদে কোটিপতি তিনি।
যদিও কাগজে-কলমে নিজেকে ব্যবসায়ী দেখানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। স্বামীসহ অবৈধ সম্পদের মামলার আসামি হতে যাচ্ছেন দুজনেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এরই মধ্যে স্ত্রীর নামে ৬০ লাখ ২৪ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রকৌশলী আব্দুর রউফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বামীর অর্জিত অবৈধ আয়কে আয়কর নথিতে প্রদর্শন করে স্ত্রী বৈধতা দেওয়ার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। রোববার (২৬ জুন) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যেকোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করবেন দুদকের সহকারী পরিচালক আলতাফ হোসেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রকৌশলী আব্দুর রউফের স্ত্রী সাহিদা ইদ্রিস দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৯৯৯-২০০০ করবর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ করবর্ষ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৪ টাকার আয় প্রদর্শন করেছেন। যার মধ্যে ব্যবসার আয় প্রদর্শন করেছেন ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৫৩ টাকা। ওই আয়ে মৌসুমি ফসল (ধান, আলু, সুপারী, পেয়াজ, রসুন ইত্যাদি) ক্রয়-বিক্রয়ের লাভ দেখিয়েছেন। কিন্তু এর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তাছাড়া পূর্বে ব্যবসা ও সঞ্চয় থেকে আয় দেখিয়েছেন ২১ লাখ টাকা, বিভিন্ন সময়ে দান ও উপহার হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তি দেখিয়েছেন ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা। সবকিছু মিলিয়ে দুদকের অনুসন্ধানে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯০০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যয়। যার মধ্যে ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৬৯১ টাকার আয় বৈধ ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলেও ৬০ লাখ ২৪ হাজার টাকা আয়ের স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস বা রেকর্ডপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি।
তাই সাহিদা ইদ্রিস ও তার স্বামী মো. আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।