কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ও দেশের অন্যান্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইসি।
কুসিক নির্বাচনে সেই সিসি ক্যামেরায় কাউকে গোপন কক্ষে উঁকি দিতে বা দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম।
বুধবার (১৫ জুন) গণমাধ্যমকে শাহরিয়ার আলম বলেন, সিসি ক্যামেরায় বেশির ভাগ কেন্দ্রের গোপন কক্ষে উঁকি দিতে বা দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি।
যদিও এই নির্বাচনে দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা বুথে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি দিতে দেখা গেছে। কুমিল্লা নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গোপন কক্ষে দুইজন একসঙ্গে ভোট দিচ্ছেন গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
গোপন কক্ষে উঁকি দেওয়া হচ্ছে, সিসি ক্যামেরায় এমন কিছু দেখেছেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবগুলো গোপন কক্ষই আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাচ্ছি। গোপন কক্ষে কেউ উঁকি দিচ্ছেন এরকম আমরা দেখিনি। কেউ উঁকি দিলে সেটা আমরা দেখতে পেতাম। দেখলে অ্যাকশন নিতাম। মনিটরিং করে এখন পর্যন্ত আমরা অস্বাভাবিক কিছু পাইনি।
স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, অভিযোগ ছিল, ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজন ব্যক্তি থাকে, তা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। একটি অভিযোগ এসেছিল, আমরা খতিয়ে দেখেছি। তবে সে ধরনের কিছু ছিল না।
গতকাল (১৪ জুন) ভোর ৬টা থেকে ইসির সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। মোট ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এর দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ১৬ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত তারা এই পর্যবেক্ষণ করবেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা সিটিসহ পাঁচ পৌরসভা ভোটে মোট ১ হাজার ৪৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র কুসিক নির্বাচনেই ৮৫০টি। বাকি ক্যামেরাগুলো পাঁচ পৌরসভায় বসানো হয়েছে।