চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে। এছাড়াও আনেয়ারা পরৈকোড়া, পটিয়ার ছনহারা, কর্ণফুলীর চর পাথরঘাটা, ফটিকছড়ির ভুজপুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে সকাল থেকে বাঁশখালীর প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেছে।
কাথরিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব কাথরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছুনয়া হাজী কালামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। কর্ণফুলীর চর পাথরঘাটা আজীম হাকিম স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রেও ভোটারদের লম্বা লাইন।
তবে আনোয়ারা পরৈকোড়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনে ওষাখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।
১নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের নাটমুড়া পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটার ওয়াসিম মোহাম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে আসছি। সকাল সকাল কেন্দ্রে চলে আসছি যাতে লাইন ধরতে না হয়। কিন্তু এরপরেও লম্বা লাইনের পেছনে পড়ে গেলাম। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রথমবারের ভোট দিয়েছেন আবিদুল হক নামের একজন। তিনি বলেন, জীবনের প্রথম ভোটটা দিলাম ইভিএমে। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পারছি। কম সময়েই আমার ভোট দিলাম।
ছনুয়া ছেলবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ৮৬ বছর বয়সী সেরুফ উল্লাহ। তিনি বলেন, জীবনে এই প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিয়েছি। ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভালো লেগেছে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইভিএমে ভোট দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তবে বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ড থেকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদেরের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। সালাউদ্দিন কাদের বলেন, ১ ও ২নং ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭৫, সংরক্ষিত নারী ১৫৪, সাধারণ সদস্য ৫৪৭ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১২৭টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাঁশখালীতে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাইনি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।