টেলিভিশন শোতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে মুসলিমরা প্রতিবাদে নেমেছেন। কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে। এর মধ্যেই খুনের হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নুপুর। থানায় এ নিয়ে এফআইআরও করেছেন তিনি।
অন্যদিকে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মুম্বাইয়ের পিড়োনি থানায় নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাকে জেরার জন্য সমন পাঠানো হবে বলে সোমবার (৬ জুন) জানান মুম্বাই পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডে। মুসলিম সংগঠন রাজা অ্যাকাডেমির সিইও ইরফান শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) নুপুরকে বহিষ্কার করার আগে বিজেপি জানায়, ভারতের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে বহু ধর্ম প্রস্ফুটিত হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। যেকোনো ধর্মের নেতার অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ করছে বিজেপি।
বিজেপি বিবৃতিতে আরও বলে, যে মত অন্য ধর্ম বা সম্প্রদায়কে ছোট করে, বিজেপি তার বিরুদ্ধে। বিজেপি এ ধরনের দর্শন বা মতের প্রচারক নয়। ভারতের সংবিধান সমস্ত নাগরিককে নিজের ধর্ম পালন এবং সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধার অধিকার দিয়েছে।
যদিও নুপুর শর্মা নিজের বক্তব্যে অনড়। বহিষ্কার হওয়ার পর তিনি টুইটারে লেখেন, আমি একটি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম, যেখানে রোজ ভগবান শিবকে অপমান করা হয়। রাগে আমি কিছু একটা বলেছিলাম। তাতে যদি কোনো ধর্মের মানুষের মনে আঘাত লাগে, আমি আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি।
গত সপ্তাহে টিভি চ্যানেলে নুপুরের ওই বক্তব্যের পর হিংসা ছড়ায় বিভিন্ন জায়গায়। মুসলিমরা প্রতিবাদে নামে। এরপর আবার টুইটারে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট দেন নবীন জিন্দল। তারপরেই আগুন জ্বলে কানপুরে। শুক্রবার সেখানে সংঘর্ষে আহত হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে ২০ জন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৬ জন।