‘পদ্মা সেতু কি ওনাদের পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে বানানো হয়েছে?’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত। সম্প্রতি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো,
‘পদ্মা সেতু কি ওনাদের পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে বানানো হয়েছে?” এ বক্তব্যটি শুধু ফখরুল নয়, ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও তাদের দলের অন্ধ সমর্থকগোষ্ঠীও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই একই কথা বলে বেড়াচ্ছে। বিশ্বের কোনো দেশেই, কোনো সরকারই পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। এটি ক্লাস এইটে পড়া একজন ছোট্ট বাচ্চাও জানে। তাহলে এই প্রশ্ন উঠাচ্ছে কেন ফখরুল ও তাদের সমর্থনপুষ্ট ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী? কারণ, তারা শত চেষ্টা করেও যখন পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন আটকাতে পারেনি, তাই তারা ঈর্ষান্বিত। ঈর্ষার এক ধরনের জ্বালা আছে, এই জ্বালা আগুনের চেয়েও কঠিন। সেই ঈর্ষার জ্বালায় জ্বলছে তারা। এই জন্যই এসব আবোল তাবোল কথা বের হচ্ছে তাদের মুখ ও মগজ থেকে।’
‘ফখরুল ও তাদের সমর্থনপুষ্ট ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে বলতে চাই, টাকা দেশের জনগণের কিন্তু নেতৃত্ব শেখ হাসিনার। শুধু টাকা থাকলেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় না। তার সাথে লাগে সাহস, পরিকল্পনা, দূরদর্শিতা এবং সঠিক নেতৃত্ব। বিএনপি-জামায়াত আমলে জনগণের হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎ খাতে কিন্তু এক পর্যায়ে দেখা গেল টাকাও নাই, বিদ্যুৎও নাই! এই তো ছিল তাদের অবস্থা।’
‘পদ্মা সেতুকে ঘিরে যত দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে, আপনারা নিজেরা যত ষড়যন্ত্র করেছেন, লক্ষ কোটি টাকা থাকলেও এই সেতু বাস্তবায়ন ছিল রীতিমতো অসম্ভব। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, সাহস, দূরদর্শিতা, সঠিক পরিকল্পনা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ, কারো কাছ থেকে কোন ঋণ ছাড়াই, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাতে পেরেছে।’
‘একটা জিনিস মাথায় রাখবেন জনাব ফখরুল, শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, সাহস, দূরদর্শিতা, সঠিক পরিকল্পনা নেওয়ার ক্ষমতা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের গুণগুলো কিন্তু তার পিতার কাছ থেকে পাওয়া। এগুলো কিন্তু তার পৈতৃক সম্পত্তি। এক অর্থে, পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তি দিয়েই বানানো হয়েছে।’
‘আপনারা যদি পদ্মা সেতু বানাতে বাধা না দিতেন, দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে দেশের পক্ষে দাঁড়াতেন, সরকারকে জনগণের পক্ষে সহযোগিতা করতেন তাহলে আজ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে সবাই মিলে আনন্দ করা যেত। কিন্তু আপনারাই পদ্মা সেতুকে শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করছেন। কারণ আপনাদের সকল বাধা, ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা দেশের টাকায় পদ্মা সেতু বানিয়ে ফেলেছেন। তাই আজ শেখ হাসিনার সমর্থকদের এবং দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের জন্য আনন্দটা একটু বেশিই। দুঃখিত জনাব ফখরুল, এই আনন্দ আপনার নয়, এই আনন্দ শেখ হাসিনার, এই আনন্দ আমাদের।’