অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করায় দেশটিতে এক দশকের রক্ষণশীল শাসনের অবসান ঘটছে। শনিবার দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের ভরাডুবি ঘটেছে। অন্যদিকে, দেশটির লেবার দলীয় অ্যান্থনি আলবানিজ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসছেন।
দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ভোট এখনও গণনা চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে লেবার দলীয় অ্যান্থনি এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, দেশটির সংসদের ১৫১ আসনের নিম্নকক্ষে কোনও দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য ৭৬ আসনে জয়ের দরকার। অ্যান্থনি অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে থাকলেও তার দল এখনও চারটি আসনে পিছিয়ে রয়েছে। ভোট গণনায় দেখা গেছে, অ্যান্থনি আলবানিজের রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি এখন পর্যন্ত ৭২ আসনে জয় পেয়েছে।
সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনে জয় না পেলে লেবার পার্টিকে দেশটির অন্যান্য স্বতন্ত্র এবং ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়তে হবে। আংশিক ফলাফলে দেখা গেছে, মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ভোটারদের ভোট পাননি এবং বিশেষ করে দেশটির ধনাঢ্য শহরগুলোতে এই জোট থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়ার লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্কট মরিসন। তিনি বলেছেন, আজ রাতে, আমি বিরোধীদলীয় নেতা এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সাথে কথা বলেছি। এবং নির্বাচনী জয়ের জন্য আমি আজ সন্ধ্যায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।
রয়টার্স বলছে, ডাক যোগে দেওয়া রেকর্ডসংখ্যক ভোট গণনা শেষ না হওয়ায় চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আরও সময় লাগতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন নীতি নিয়ে স্কট মরিসনের সরকারের প্রতি দেশটির জনগণ ক্ষুব্ধ ছিল। যে কারণে তারা এবারের নির্বাচনে জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় আলবানিজের লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখেছেন।