সুন্দরবনের কোলঘেঁষা শহর খুলনার ১৪০তম জন্মদিন আজ (২৫ এপ্রিল)। দীর্ঘ দিন ধরে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি ও বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটি খুলনার উদ্যোগে নগরীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জমকালো করে জন্মদিন পালন করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়নি।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা ও ভৈরব নদী তীরে খুলনা শিল্পনগরীর অবস্থান। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনা। দেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম।
১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসাবিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দফতর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি ও ভৌগোলিক অবস্থার কারণে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনার ১৩৯তম জন্মদিন আজ। এর আগে খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা। ব্রিটিশ শাসক ডাব্লিউ এম ক্লে জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
খুলনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মত হচ্ছে— ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি।
১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করা রেকর্ডে লিখিত ‘Culnea’ শব্দ থেকে খুলনার উৎপত্তি। বিজ্ঞজনের মতে ‘কিসমত খুলনা’ মৌজা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। বৃটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা এসেছে বলেও অনেকের ধারণা।