১৪ বছর বয়সে হারিয়ে যান আছিয়া খাতুন। এখন তার বয়স ৩৬ বছর। র্যাবের সহযোগিতায় ২২ বছর পর তিনি পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আছিয়া খাতুনকে তার ভাই মো. শহীদ উল্লাহর হাতে তুলে দেন।
আছিয়া নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের কালাচানপুর গ্রামের মৃত মো. ওমর আলীর মেয়ে।
আছিয়ার ভাই মো. শহীদ উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০০০ সালে আমার বোন ফুফুর বাসা থেকে হারিয়ে যায়। আমরা অনেক খুঁজেছি। একটা সময় ভেবেছি আমার বোন হয়ত মারা গেছে। রোববার (৩ এপ্রিল) র্যাবের খন্দকার মো. শামীম হোসেন স্যারের কাছে সুধারাম থানার জিডির কপি দেই। স্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার বোনকে খুঁজে বের করে দেন।
আছিয়া খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ২২ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আজ র্যাবের সহযোগিতায় পরিবারকে খুঁজে পেয়েছি। আমার কাছে অনেক খুশি লাগছে। র্যাবের স্যারকে ধন্যবাদ।
র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযোগের আলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে সুধারাম মডেল থানার সোনাপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করি। এরপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এরপর তার ভাই মো. শহীদ উল্লাহকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় পাঠিয়েছি।