ভারতে দুই বাংলাদেশি যুবককে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির বিশেষ একটি আদালত। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে অবৈধভাবে অবস্থানের দায়ে বুধবার (৩০ মার্চ) ওই দুই বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই যুবকের নাম মোহাম্মদ ইকবাল ও মোহাম্মদ ফারুক। তারা চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং সম্পর্কে একে অপরের ভাই। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস-বিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (কাস্টম) মোহাম্মদ ইকবালকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং সাড়ে ৬ হাজার রুপি জরিমানা করেছেন। একইভাবে মোহাম্মদ ফারুককেও চার বছরের কারাদণ্ড এবং ৬ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ইকবাল ও ফারুক একে অপরের ভাই। জাল নথি ব্যবহার করে তারা উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকায় বসবাস করছিলেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইকবাল ও ফারুক চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস-বিরোধী স্কোয়াড বলছে, ইকবাল ও ফারুকের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত জাল নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে তারা ভারতে বসবাস করছিলেন। অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানের জন্য ২০১৩ সালে এই দুই ভাই পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে তারা আবার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং সাহারানপুরের ঠিকানা ব্যবহার করে দালালদের সহায়তায় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং পাসপোর্টসহ পরিচয়পত্র হাতে পায়।
অভিযুক্ত ইকবাল ও ফারুকের সাথে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ইতালি, ব্রিটেন, অস্ট্রিয়া ও মিয়ানমারের মানুষের যোগাযোগ ছিল বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।