সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি।
বুধবার (১৬ মার্চ) মওদুদ আহমদের প্রথম ও খন্দকার দেলোয়ারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা, নোয়াখালী ও মানিকগঞ্জে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা হবে। এতে অংশ নেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিকেল ৩টায় জেলার কবির হাটে মওদুদ আহমদের সংসদীয় এলাকায় আলোচনা সভায় অংশ নেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আরও জানান, এছাড়া বুধবার দুপুর ১২টায় মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা হবে। এতে অংশ নেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়া খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ মার্চ বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শায়রুল কবির।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৬ মার্চ মওদুদ আহমদ ও ২০১১ সালের ১৬ মার্চ মারা যান খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। তারা দুজনই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান। নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি মওদুদ আহমদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি, উপপ্রধানমন্ত্রী, আইন, সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযুদ্ধের ‘পোস্টমাস্টার জেনারেল’ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কারণে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন রণাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা। এক-এগারোর সামরিক প্রভাবিত সরকারের সময়ে বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে সংগঠনের নেতৃত্বে দেওয়ায় দলে এখনও তিনি প্রশংসিত।