বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটের পয়সা খেয়ে তাদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি, সরকারের মন্ত্রীরা মূল্যবৃদ্ধির কারণগুলো আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে বলছেন। বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু তিনি বললেন সিন্ডিকেটদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সিন্ডিকেটদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আপনি ক্ষমতায় বসে আছেন কেন? এজন্য আপনার পদত্যাগ করা উচিত ছিলো।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নিচে এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তিনি এ কথা বলেন। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াও, দাম বৃদ্ধির গণশুনানি বন্ধ কর- শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে গণশুনানিতে যা কিছু হয়, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয় না উল্লেখ করে সাকি বলেন, সরকারের নির্দেশই যদি বাস্তবায়ন হবে, তাহলে এই গণশুনানির শেষ পর্যন্ত কী কাজ হয়?
তিনি আরও বলেন, সরকার বলে আমরা সব ভোক্তা পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই দাম বাড়িয়েছি। অথচ দাম বাড়ানোর জন্য নিজেদের সিদ্ধান্তগুলোকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই গণশুনানি ডাকা হয়। এজন্য আমি গণশুনানিতে বলেছি, আপনারা এই প্রতিষ্ঠানকে এবং গণশুনানিকে তামাশায় পরিণত করবেন না। লোকে যদি মনে করে এটা নাটক, তামাশ; আপনারা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন, সেটাই বাস্তবায়ন করবেন, তাহলে এই গণশুনানির ওপর মানুষের আস্থা থাকবে না। মানুষ এখানে আসবেও না।
জোনায়েদ সাকি বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন দেশে ভোজ্যতেলসহ সবকিছুর মজুত নাকি ঠিক আছে। কোনো কিছুর অভাব নেই। প্রশ্ন হচ্ছে মজুত যদি ঠিক থাকে তাহলে বাজারে এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে কেন? তারা বলছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং চক্র তারা নাকি কারসাজি করেন। যদি অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এইভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ে, তাহলে এতোদিনে একজন লোকও কেন গ্রেফতার হলো না কেন? কেন তারা আইনের আওতায় এলো না।
তিনি আরও বলেন, যদি অসাধু চক্রকে খুঁজে না পান তাহলে তো আপনাদের সরকারে থাকার কোনো কারণ নেই। আসলে ওই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকরাই যখন অসাধু চক্রকে খুঁজে পান না, চাপে পড়ে কিছু বলতে পারছেন না, তখন তথ্যমন্ত্রী বিএনপি তত্ত্ব আবিষ্কার করেন।