ইউক্রেনে যুদ্ধাবস্থার জেরে নাগরিকদের দেশটিতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি দেশটিতে চলমান যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা হিসেবে যেতে ইচ্ছুক নাগরিকদেরও নিরুৎসাহিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা নাগরিকদের ইউক্রেনে না যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, বিশেষ করে যারা স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা হিসেবে সেখানে যেতে চান, তাদেরকে।’
‘যদি সরকারের এই নির্দেশ উপেক্ষা করে কোনো নাগরিক সেখানে যাওয়ার উদ্যোগ নেন, সেক্ষেত্রে তাকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা গেছেন ইউক্রেনে। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৫২ টি দেশ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী ইউক্রেনে এসেছেন এবং সেখানকার বিভিন্ন শহরে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াই করছেন তারা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ইউক্রেনে প্রায় দেড়শ মার্কিনী স্বেচ্ছাসেবী দেশটির সরকারের পক্ষে যুদ্ধ করছেন।
যে নাগরিকরা ইউক্রেনে গেছেন, তাদের দেশে ফিরে আসা অনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন নেড প্রাইস। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে দেশে ফিরে আসতে পারবেন, আমরা জানি না। কারণ এই মুহূর্ত এ বিষয়ে কোনো প্রকার সহযোগিতা করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।’
নেড প্রাইসের এই বক্তব্য মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যেরই প্রতিফলন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়াব না। কারণ, তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে যা আমরা কখনও চাই না।’
সূত্র: রয়টার্স