রাশিয়ার গ্যাস ও তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবে না বলে জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান।
ফ্রান্সে ইইউ নেতাদের একটি আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এ তথ্য দিলেন ভিক্তর অরবান।
ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, আমাদের জন্য যে বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে গেছে। এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না, যাতে তেল ও গ্যাস আছে। তাই সামনের দিনগুলোতে হাঙ্গেরির জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ১৬তম দিনে পা রেখেছে আজ। যুদ্ধ বন্ধে এরই মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও এখনও কার্যকরী কোনো সমাধানের পথ পাওয়া যায়নি।
এরইমধ্যে রাশিয়াকে বেকায়দায় ফেলতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। তারই অংশ হিসেবে দেশটির ওপর ব্যাপক আকারে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পুতিন যে যুদ্ধে জড়িয়েছেন তাতে আমরা সহায়তা করব না উল্লেখ করে গত ৯ মার্চ রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন বলেন, আমদানি বন্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র সমস্যায় পড়বে। তবে আমার দেশের আইনপ্রণেতারা রাশিয়া থেকে আমদানি বন্ধের ব্যাপারে একমত।
তিনি আরও বলেন, আমদানি বন্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রে দাম বেড়ে যেতে পারে। এই আশংকা থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির নেতারা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে একমত।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এরইমধ্যে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি মূল্য প্রায় ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। এই যুদ্ধের ফলে জ্বালানির দাম বাড়বে বলে বিশ্লেষকেরা আগেই সতর্ক করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সেটা যত সহজ, ইউরোপের জন্য কাজটা অতটা সহজ না।
তবে তেলের বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ভ্যানডা ইনসাইটসের ভানদানা হারি বলেছেন আশঙ্কার কথা হচ্ছে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পুতিন ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে, যা পুরো ওই মহাদেশের মূল জ্বালানির উৎস।