কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শাহীন ইকবাল ইমন নামের এক যুবকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন।
অসুস্থ ইমন ব্রেইন টিউমারের অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন ৫ লক্ষাধিক টাকা। ছাত্রলীগের সভাপতি পুরো দায়িত্ব নেওয়ায় আগামী ১২ মার্চ ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানায় তার পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শাহীন ইকবাল ইমনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটি প্রচার হলে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইনের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে অসুস্থ ইমনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন।
ইমন কক্সবাজার সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ব্রেইন টিউমার আক্রান্ত হওয়ার পর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্পের চৌধুরীপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন।
অসুস্থ ইমন বলেন, দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আমার পরিবার আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায়। তাই ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইনের মতো যদি সবাই দুহাত বাড়িয়ে দেয়, আমি বেঁচে ফিরতে পারব।
ইমনের বাবা আবুল কালাম বলেন, আমার ছেলে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার পর তার চিকিৎসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। আমাদের দুঃসময়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাশে দাঁড়িয়ে আমার ছেলেকে বাঁচতে আলো দেখিয়েছে। আমরা তার কাছে চির কৃতজ্ঞ।
সাদ্দাম হোসাইনের সহযোগিতাপ্রাপ্ত সাব্বির নামক এক প্রতিবন্ধী বলেন, সাদ্দাম ভাইয়ের ওসিলায় আজ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছি। তিনি আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ পৃথিবীর আলো সুন্দর করে দেখতে পাচ্ছি।
এর আগেও সাদ্দাম হোসাইন চারজনের দায়িত্ব নেন। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন সাদ্দাম হোসেন। তার মানবিক কাজগুলো দেশের আগামীর নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে মানবিক হতে উৎসাহ জোগাবে বলে মত স্থানীয় সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘ইমনের মতো উদ্দীপ্ত এক তরুণের গল্প আমরা এত সহজে ফুরিয়ে দিতে পারি না। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সমাজের অসহায় ব্যক্তিদের পাশে সবাইকে মানবিক হয়ে দাঁড়াতে হবে।